নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: জকিগঞ্জের ইছামতি দারুল উলূম কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও গভর্ণিং বডির সভাপতি বরেণ্য আলেমে দ্বীন মাওলানা মো. মাশুক আহমদ (রহ.)-এর স্মরণে ঈসালে সাওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ইছামতি কামিল মাদ্রাসার মসজিদে অনুষ্ঠিত হওয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মাওলানা শিহাবুর রহমান চৌধুরী।
আরবী প্রভাষক মাওলানা আব্দুল লতিফ শামীমের সঞ্চালনায় মরহুমের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন বায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. আজিজুর রহমান তাপাদার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা মো. শফিকুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক মাওলানা মো. খলিলুর রহমান, প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মো. আব্দুল বাছিত হাতিডহরী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাওলানা মো. আব্দুল কুদ্দুস, মুহাদ্দিস মাওলানা মোহাম্মদ ওয়ারিছ উদ্দিন তাপাদার, অবসরপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মো. আবু তাহের, সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. আতিকুর রহমান ছিদ্দিক, ডা. তোফাজ্জল আলী মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মো. মুহিবুর রহমান, সহকারী শিক্ষক মুহাম্মদ মুহি উদ্দিন, হবিবিয়া ছাত্র সংসদের ভিপি আকবর আহমদ চৌধুরী, আলিম জামাতের ছাত্র মো. আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।
মাহফিলে বক্তারা বলেন, অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মাশুক আহমদ (রহ.) ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক, প্রাজ্ঞ মুহাদ্দিস এবং দক্ষ প্রশাসক। সুদীর্ঘ কর্ম জীবনে তিনি তৈরী করেছেন অসংখ্য নায়েবে নবী ও দ্বীনের মুবাল্লিগ যারা দুনিয়াব্যাপি মানুষকে হেদায়েতের পথে আহবান করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ইছামতি কামিল মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন উল্লেখ করে বলেন, তাঁর শিক্ষকতা জীবনের শুরু এবং শেষ এই প্রতিষ্ঠানেই। জীবনের ৪২টি বছর একাধারে এই প্রতিষ্ঠানের খেদমত করে গেছেন। তাঁর অমায়িক ব্যবহার আর বন্ধুসুলভ আচরণে ছাত্র-শিক্ষক সবার কাছেই ছিলেন সমানভাবে প্রিয়।
মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী মৌলভী মাওলানা মো. আব্দুল খালিক, মাওলানা মো. আতাউর রহমান, মাষ্টার সিরাজ উদ্দিন, মাওলানা মো. জিল্লুর রহমান, মাওলানা মো. দেলওয়ার হোসেইন চৌধুরী, মাওলানা মো. আব্দুল কাইয়ূম, মাওলানা মো. আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী তাজুল, উপজেলা তালামীযের সেক্রেটারি আহমদ হোসেন আইমান, মাষ্টার হোসেন আহমদ খান প্রমূখ। মাহফিলের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মো. অলিউর রহমান, হামদ ও নাতে রাসূল পরিবেশন করেন আয়নুল হক ও আল মাহবুব। পরে খতমে কুরআন ও মিলাদ শরীফ শেষে মোনাজাত করা হয়।
Leave a Reply