জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদের মারধরে জহিরুল ইসলাম মুন্না নামের এক স্কুল ছাত্র আহত হয়ে জকিগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সে নরসিংহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র ও হাইদ্রাবন্দ গ্রামের মৃত ছরফই মিয়ার ছেলে। বুধবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানাগেছে, বুধবার দুপুরের দিকে জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ সরকারী গাড়ী নিয়ে পৌর এলাকার হাইদ্রাবন্দ গ্রামের মধ্যে রাস্তা দিয়ে যাবার সময় নরসিংহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র জহিরুল ইসলাম মুন্না গাড়ীর গ্লাসে হাত দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জকিগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্কুল ছাত্র জহিরুল ইসলামের মা শাহানারা বেগম জানান, আমার ছেলে স্কুল যাবার পথে উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদের সরকারী গাড়ীর গ্লাসে হাত দেয়ার অপরাধে তিনি গাড়ী থেকে নেমে লাথি, চড়, থাপ্পড় মেরে গুরুতর আহত করে রাস্তায় ফেলে চলে যান। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বাচ্চাটির বাবা নেই তাই ন্যায় বিচার পাবো কি না জানিনা। স্কুল ছাত্রের মা বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদার বলেন, কয়েকটি বখাটে ছেলে ঐ এলাকায় গাড়ী যাতায়াতকালে টিল ছুড়াসহ নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতি করে। বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সরকারী গাড়ী হাইদ্রাবন্দ গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ছেলেটি গাড়ীর ক্ষতি করায় আমি চড় মেরে শাসয়েছি মাত্র। অমানিকভাবে কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবী করেন।
জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মেহেদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দুপুরের দিকে একটি স্কুল ছাত্র আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
Leave a Reply