নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: জকিগঞ্জে ৫ দফা দাবী পূরণের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের জকিগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলায় পরিষদ প্রাঙ্গনে দাবী আদায়ের লক্ষে মানবন্ধন কর্মসূচি শেষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ স্মারকলিপি পাঠান।
বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের ৫ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীদের নূন্যতম বেতন গ্রেড ১১তম প্রদান এবং শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে ৩য় শ্রেণি কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি। পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/অফিস সুপার করা এবং পেশাগত উন্নয়নে কম্পিউটারসহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিং এর দ্রæত ব্যবস্থা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত চাকুরীবিধি-২০১২ দ্রæত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার ব্যবস্থা। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দ্রæত উচ্চতর পদে পদোন্নতি। সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা।
কর্মচারী পরিষদের সভাপতি নাঈমুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক সুশিল কান্ত রায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল কুমার রায়ের যৌথ সাক্ষরিত স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রায় পঞ্চাশ হাজার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী জাতি গঠনে নিরবিচ্ছন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চরম বৈষম্যের মধ্যে কর্মচারীদের মানবেতর দিন কাটাতে হয়। জাতির জনকের কন্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে যুগোপযোগী শিক্ষানীতি উপহার দিয়েছেন। এই শিক্ষানীতির আলোকে দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত চাকুরী বিধিমালা-২০১২ জারি করা হয়। প্রণিত বিধিমালা অনুযায়ী গভর্নিংবডি/পরিচালনা পরিষদে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার বিষয়টি অদ্যাবধি কার্যকর করা হয়নি। গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের সদস্য না রাখাসহ চাকুরী বিধিমালা যথাসময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে পত্র দিয়ে জানানো হয়েছে। জাতীয় সংসদে পাশকৃত আইন, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুসরণ করে বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী চাকুরীবিধি প্রণয়নের আইনটি যদি প্রচলিত আইনের কোথাও সাংঘর্ষিক হয়ে থাকে তা-সংশোধনের দায়িত্ব কার? চাকুরীতে যোগদানের তারিখ হতে অবসর গ্রহণ পর্যন্ত ৩০/৪০ বছরে কর্মচারীদের বেতন গ্রেডের কোন পরিবর্তন হয়ান। চাকুরীজীবনে পদোন্নতি নেই। চাকুরীবিধি অনুসরণ না করার কারণে কর্মঘন্টা ও ওভার টাইম নেই। অনার্স, মাষ্টার্স কলেজের প্রতি বিভাগে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদ সৃষ্টি করা।
নেতৃবৃন্দ তাদের দাবীসূমহ আলোচনার মাধ্যমে অনতিবিলম্বে মেনে নেয়ার আহবান জানিয়ে উল্লেখ করেন, নায্য দাবী আদায় না হলে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে কর্মচারীদের দাবী আদায়ে তারা বাধ্য হবেন।
Leave a Reply