আল হাছিব তাপাদার:: পুলিশ বাহিনীতে চাকুরীতে থাকাকালে জকিগঞ্জের বাসিন্দা এমন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও সদস্যরা প্রশংসা কুড়ালেও হাতেগুনা কয়েজন দূর্নাম ছড়িয়েছেন জকিগঞ্জের। বিভিন্ন সময় নানা অপকর্ম করে চাকরি হারিয়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছেন বির্তকিতরা। তাদের বির্তকিত কর্মকান্ডে জকিগঞ্জী পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যারা প্রায় সময় লজ্জিত হতে হয়েছে সহকর্মীদের কাছে। এ লজ্জা ছিলো পুরো জকিগঞ্জের।
সম্প্রতি সময়ে অতীতের গ্লানিকে মুছে ফেলে জকিগঞ্জী কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা নিজেদের সততায় আবারো বাহিনীতে প্রশংসিত হয়ে উঠেন। ভালো কাজের জন্য অতীতের কলঙ্ক অনেকটা ভূলে গিয়েছিলেন তাদের সহকর্মীরা। কিন্তু হঠাৎ আবার জকিগঞ্জীদের গায়ে লাগলো কলঙ্কের দাগ। সিলেট জালালাবাদ থানা পুলিশের কনস্টেবল জকিগঞ্জের খলাছড়া ইউনিয়নের মাদারখাল গ্রামের আব্দুল নূরের ছেলে তোফায়েল আহমেদ কমদিনে বেশী টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখে জড়িয়ে পড়েছিলো ইয়াবা ব্যবসায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেহাই হয়নি তার। র্যাবের হাতে ধরা পড়ে কারাগারে ঠাই হয়েছে। পুলিশ বাহিনী থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। কলঙ্কিত করেছে জকিগঞ্জকে।
র্যাব জানিয়েছে, গোপন তথ্যর ভিত্তিতে রোববার (৪ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকার ডিঙ্গি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় রেস্টুরেন্টের একই টেবিলে বসে থাকা জকিগঞ্জ উপজেলার মাদারখাল গ্রামের আব্দুল নূরের ছেলে ও জালালাবাদ থানা পুলিশের কনস্টেবল তোফায়েল আহমেদ (২৮)কে ৬০৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ও তার সঙ্গী এয়ারপোর্ট থানার খাক্কুয়ার পাড় এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আমির হোসেন (৩৭) এর কাছ থেকে ১৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে সোমবার রাত সোয়া ৪টার দিকে তাদেরকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ বলেন, কনস্টেবল তোফায়েল জালালাবাদ থানার পিকআপচালক হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় কনস্টেবল তোফায়েলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
Leave a Reply