জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: জকিগঞ্জে দেড়মাসের মাথায় জোর করে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগ এনে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক অন্ত:স্বত্তা স্ত্রী। বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন কাজলসার ইউনিয়নের ডেমারগ্রামের গৃহবধু মারজানা বেগম (২২)। এতে আসামী করেন স্বামী মস্তকিম আলী (২৫) ও শ^শুড় মঈন উদ্দিন (৬৫)কে।
মামলার আইনজীবি কাওসার রশিদ বাহার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি খুবই অমানিবক এবং নিন্দনীয়। বৃহস্পতিবার বিচারক না থাকায় মামলাটি আদালতে ফাইলিং করে রাখা হয়েছে।
এামলায় বাদী মারজানা উল্লেখ করেন, একই গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে মস্তকিম আলীর সাথে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এরমধ্যে ঘটে যায় অনেক কিছু। বিয়ে করে ঘরে তুলতে মারজানা মস্তকিমকে চাপাচাপি শুরু করে। তাতে মস্তকিম অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে গত বছরের ৪ জানুয়ারী মারজানা বাদী হয়ে মস্তকিমের বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করে। মামলা নং (জিআর-০১/২০১৮)। পরে মামলা থেকে বাঁচতে এলাকার মুরব্বিদের মধ্যস্থতায় মারজানাকে বিয়ে করেন মুস্তকিম। বিয়ের পর তাদের ঔরসে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়।
গত মঙ্গলবার ঐ মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে মস্তকিম মেয়ের চিকিৎসা করাতে জকিগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসেন মেয়ে ও স্ত্রীকে। হাসপাতালে আসার পর একজন নার্সের সহযোগীতায় কৌশলে দেড় মাসের অন্ত:স্বত্তা স্ত্রী মারজানা বেগমের অনাগত সন্তান (গর্ভপাত) নষ্টের চেষ্টা চালান। এতে মারজানা রাজী না হওয়ায় হাসপাতালে মারপিট শুরু করেন। তখন আনসার বাহিনীর সদস্য পিসি আব্দুর রাজ্জাক ও আরেকজন ঘটনাটি দেখে মস্তকিমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করার উদ্যোগ নেন। পরে মস্তকিম পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে স্ত্রীকে মারধর ও গর্ভ নষ্ট করা থেকে বিরত থাকবেন মর্মে একটি মুসলেখা দিয়ে স্ত্রী নিয়ে বাড়ী চলে যান। কিন্তু বাড়ীতে নিয়ে স্ত্রীকে স্বামী মস্তকিম আলী ও শ^াশুড় মঈন উদ্দিন নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেন।
Leave a Reply