জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: কানাইঘাট থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত এক ডাকাতের স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দীর সূত্র ধরে কানাইঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাইপগান-গুলি ও ডাকাতির সরঞ্জামাদিসহ এক ডাকাতের স্ত্রী-কে জকিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কানাইঘাট থানা পুলিশ জকিগঞ্জের বারহাল ইউনিয়নের বিলবাড়ী গ্রামের এনাম মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঐ বাড়ীর ভাড়াটিয়া আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য দুলাল মিয়ার ঘর থেকে বিদেশী ১টি পাইপগান-গুলি, ৩টি মোবাইল সেট ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান সরঞ্জামসহ দুলাল ডাকাতের স্ত্রী বিয়ানীবাজার উপজেলার জলডুপ গ্রামের সীমা বেগম (২৭) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দুলাল পালিয়ে যায়।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত বুধবার মধ্যরাতে কানাইঘাট সদর ইউপির আব্দুল জলিলের বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দিয়ে গুলি চালায়। গুলিতে আব্দুল জলিলের পুত্র ইফজাল আহমদ নিহত হন। এরপর থেকে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জকিগঞ্জের বিরশ্রী ইউপির পূর্ব খালপাড় গ্রামের মৃত মইন উদ্দিনের ছেলে কুখ্যাত সাবুল ডাকাত (২৭) কে তার শ্বশুড় বাড়ি কানাইঘাটের কেউটি হাওড় গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সাবুল ডাকাতের জবানবন্দীর সূত্র ধরে সহযোগী ডাকাতদের ধরতে ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি এবং লুঠ হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে তিনিসহ ওসি তদন্ত নুনু মিয়া একদল পুলিশ নিয়ে বারহাল ইউপির চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ চৌধুরীসহ এলাকার লোকজনের সহায়তায় সিলেট শহরে বসবাসরত বিলবাড়ী গ্রামের এনাম উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালান। অভিযানকালে তার ভাড়াটিয়া দুলাল মিয়ার বসতঘর থেকে কিছু এমিটেশন, ১টি পাইপগান, ৫ রাউন্ড কার্তুজ, ভারতীয় শিসা গুলি, ৩টি মোবাইল সেট, লোহার গ্রিল ও তালা ভাঙ্গার কয়েকটি শাবল, অনান্য যন্ত্রপাতিসহ দুলাল ডাকাতের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত সীমা ডাকাত স্বামীর সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবং সহযোগিতা করে থাকেন।
Leave a Reply