আমিনুর রহমান গত ২৭ অগাস্ট রাতে ঢাকায় নয়া পল্টনের বাসা থেকে সাভারে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। তার অন্তর্ধানে সরকারের হাত রয়েছে বল সন্দেহ করে আসছিলের দলটির নেতারা।
নিখোঁজ কয়েকজনের ফিরে আসার মধ্যে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার শাহজাদপুরে প্রগতি সরণিতে আমিনুরের অবস্থান শনাক্ত করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম শনিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাকে (আমিনুর) উদ্ধার করার পর গুলশান থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”
ওই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে চেয়ে বিকালে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. জিহাদের আবেদনের শুনানি শেষে চার দিন হেফাজতের নির্দেশ দেন মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস।
আমিনুরের পক্ষে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করলেও আদালত তা নাকচ করে বলে জানান আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শেখ রাকিবুল ইসলাম।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতা আমিনুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শাজাহান খানের নেতৃত্বে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বোমা হামলার মামলায়।
সেদিন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির সময় কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটেছিল।
তখন পরিবহন শ্রমিক নেতা ইসমাইল হোসেন বাচ্চু বাদী হয়ে গুলশান থানায় খালেদা জিয়া, সেলিমা রহমানসহ বিএনপি ও ২০ দলের ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলেও আমিনুরের নিখোঁজ হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।
আমিনুর রহমানের সন্ধানে কল্যাণ পার্টির মানববন্ধন (ফাইল ছবি)
ইতোপূর্বে ফিরে আসা নিখোঁজ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাদের টাকার জন্য অপহরণ করা হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট বলেই নিখোঁজদের উদ্ধার করা যাচ্ছে।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম নেতৃত্বাধীন কল্যাণ পার্টি ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক।
তার অন্তর্ধানের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুম-খুনের জন্য সরকারকে দায়ী করে বলেছিলেন, “সন্দেহ করা হচ্ছে তাকেও (আমিনুর) একই পরিণতি বহন করতে হয়েছে, তিনি গুম হয়েছেন।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Leave a Reply