জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: ঘুণিঝড় ফণী বাংলাদেশের খুলনা উপকুল দিয়ে সন্ধ্যার দিকে প্রবেশ করবে। সমতল ভূমিতে দীর্ঘ সময় থাকার কারণে আবহাওয়াবিদদের ধারণা বাংলাদেশে অর্ধেক শক্তি নিয়ে আঘাত হানবে ফণী। বাতাসের বেগ ঘন্টায় ৮০থেকে ১২০ কিলোমিটার গতি নিয়ে খুলনা উপকুল অতিক্রম করবে। রাজশাহী-রংপুর হয়ে দেশের আরও ১৬ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাবে ঘুর্ণিঝড় ফণী।
ভোর থেকে খুলনা ও আশপাশ এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সিলেটসহ আশাপাশ এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয় দুপুর ১টার দিক থেকে। সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশের উপকুল অতিক্রম করার ঘন্টা খানেকের মধ্যে সিলেটের উপর দিয়ে বয়ে যাবে ফণী। এ সময় ঘন্টায় ৮০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতি থাকবে ফণীর। যা ভারতের উপকুল অতিক্রম করার চেয়ে অর্ধেক গতি।
সন্ধ্যার পূর্ব থেকে জকিগঞ্জবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার আহবান জানিয়েছেন জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ত্রাণ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বিজন কুমার সিংহ। তিনি বলেন, ঘুর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানরা মাইকিং করে জনগনকে সর্তকতা দিয়েছেন। জুম্মার নামাজের খুতবায় মসজিদে মসজিদে দোয়া ও ঘুর্ণিঝড় ফণীর সময়ে ও পরে করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় ফণী শুরু হওয়ার পর একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া উত্তম। একই সাথে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়ির বাসিন্দাদের প্রতিবেশির নিরাপদ বাড়িতে এবং বিশেষ করে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার আহবান জানান।
আতঙ্কিত না হয়ে সর্তক থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঘুর্ণিঝড় ফণীর সময় যানবাহন চলাচল থেকে এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো। সবার সচেতনতা ও সতর্কতায় আমরা এ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো।
Leave a Reply