জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়কে ঘিরে ঢাকায় কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে দাঁড়াতে দেবে না পুলিশ। বৃহস্পতিবার আলোচিত এ মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সব ধরনের অরাজকতা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে র্যাব-পুলিশ। এরই মধ্যে সারা দেশে শুরু হয়েছে র্যাব-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান ও ধরপাকর। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি শুরু করেছে র্যাব-পুলিশ।
তবে বিএনপি নেতাদের গতিবিধি নজরদারির মধ্যে রাখা গেলেও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। কেননা যোগাযোগের ক্ষেত্রে তারা বিশেষ একটি অ্যাপস ব্যবহার করছে বলে খবর আছে গোয়েন্দাদের কাছে।
অন্যদিকে, জামায়াতের দায়িত্বশীলরা বলছেন- মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের একের পর ফাঁসির রায় এবং পরবর্তীতে রায় কার্যকরের সময় জামায়াত বিএনপি পাশে থাকবে দূরের কথা একটা বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি। তাই জামায়াতও এখন নীরব থেকে বিএনপির সেই নিষ্ক্রিয়তার জবাব দিতে চায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের মজলিসে শূরার এক সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপির দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য জামায়াত জোট করেনি। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের নির্বাচনী জোট। খালেদার মামলার বিষয়টি মোকাবিলা করবেন তাদের নেতা-কর্মীরা। তবে সরকার সাজানো মামলায় তাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির চেষ্টা করছে। এজন্য আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি জানান, রায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিপক্ষে গেলে জামায়াতের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া হবে।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান বলেন, সম্ভাব্য সবকিছুই বিবেচনায় নিয়ে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে র্যাব। রাজধানীতে ব্যাটালিয়নগুলোর নিয়মিত ফোর্সের বাইরেও র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কাজের চেষ্টা করলেই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস বলেন, বিশেষ স্থাপনা ছাড়াও পুলিশের সব ধরনের চেকপোস্টে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যানবাহনে নিয়মিত যে তল্লাশি করা হয়, রায় ঘিরে তা বাড়ানো হচ্ছে। সার্বিক বিষয়গুলো নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
Leave a Reply