নিজস্ব প্রতিবেদক:: জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালত থেকে চিকিৎসার জাল কাগজপত্র দিয়ে জামিন নেয়ার চেষ্ঠায় এক সাবেক মেম্বারসহ দুজনের ঠাঁই হয়েছে কারাগারে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৩ ডিসেম্বর বুধবার। এ ঘটনায় জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নির্দেশে সিএসআই সফিকুর রহমান বাদী হয়ে সুলতানপুর ইউপির ঘেছুয়া গ্রামের মৃত এখলাছ উদ্দিনের ছেলে বিলাল আহমদ (২৯), ও একই গ্রামের মৃত রইছ আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজ উদ্দিনকে আসামী করে জকিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ০৮।
মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর জকিগঞ্জ সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রট আদালত চলাকালীন সময়ে বিলাল আহমদ সেচ্ছায় সি.আর ১২২/১৭ মামলায় হাজির হয়ে কৌশলী মঈন উদ্দিনের মাধ্যমে জামিনের প্রার্থনা করেন এবং জামিন দরখাস্তের সাথে চিকিৎসার কিছু কাগজপত্র দাখিল করেন। জামিন শুনানীকালে উপস্থাপিত কাগজপত্র পর্যালোচনার সময় ফটোকপি করা চিকিৎসার কাগজে নাম, তারিখ, বয়সে ঘষামাজা দেখা গেলে বিলাল আহমদকে আটক রাখার নির্দেশ দিয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবিকে মূল কাগজ বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপনের আদেশ দেন বিচারক। কিন্তু আসামী পক্ষের আইনজীবা তা জমা দিতে পরেননি। পরে আটক বিলাল আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় সি.আর ১২২/১৭ মামলায় আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করা হলে প্রতিবেশী সাবেক মেম্বার সিরাজ উদ্দিনের কাছে সাহায্যে চাইলে সিরাজ উদ্দিন জাল জালিয়াতির আশ্রয়ে চিকিৎসার কাগজ সৃজন করে আদালতে উপস্থাপন করতে বিলাল আহমদকে জাল চিকিৎসার কাগজ দেন।
পরে সেই কাগজপত্র দাখিল করে বিলাল আদালত থেকে জামিন নেয়ার চেষ্ঠা করেন। বিলাল আহমদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে পুলিশ ঐদিন সাবেক মেম্বার সিরাজ উদ্দিনকে আটক করে। এরপর আদালতের নির্দেশে সিএসআই সফিকুর রহমান বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় সাবেক মেম্বার সিরাজ উদ্দিনসহ বিলাল আহমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার আটক সাবেক মেম্বার সিরাজ উদ্দিনকে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার এসআই মোস্তাক আহমদ জানান, রিমান্ডে সাবেক মেম্বার সিরাজ উদ্দিন অনেক তথ্য দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে সকল কিছু প্রকাশ করা যাচ্ছেনা। মামলার তদন্ত শেষে সকল তথ্য দেয়া সম্ভব হবে।
Leave a Reply