জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: “শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করাতে মাতা-পিতাকে উৎসাহিত করুন” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জকিগঞ্জে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি এসডিএস’র আয়োজেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহযোগিতায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ থেকে র্যালি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। র্যালি ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন কুমার সিংহ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. আব্দুল আল মেহেদী, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা রওশন শ্যামলী, এসডিএস’র নির্বাহী পরিচালক আব্দুল হামিদ, পরিবার পরিকল্পনার সঞ্জয় চন্দ্র নাথ ও রাস বিহারী বিশ্বাস, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জোসনা খানমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মায়ের দুধ শিশুদের সর্বোৎকৃষ্ট খাবার। সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য বিশেষ আশীর্বাদ। চিকিৎসা বিজ্ঞান মায়ের দুধকে শিশুদের সর্বোৎকৃষ্ট খাবার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শিশু মায়ের যে ‘শাল দুধ’ খায়, সেটা হচ্ছে তার সারাজীবনের জন্য রোগ প্রতিষেধক টিকা। শিশুর পুষ্টি, বেঁচে থাকা এবং বেড়ে ওঠার জন্য মায়ের দুধই সর্বোত্তম ভূমিকা রাখে। শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং শিশুদের বিভিন্ন রোগ কমানোর জন্য যেসব জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালনায় সাহায্য করতে পারে মায়ের দুধ। তথাকথিত আধুনিকতার দোহাই দিয়ে এক শ্রেণির মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রেখে বাজার থেকে কেনা গুঁড়ো দুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। বাজারের গুড়া দুধ থেকে শিশুরা নানা অসুখ-বিসুখের শিকার হচ্ছে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মায়ের দুধ না খাওয়ানোর জন্য শিশুদের পুষ্টিহীনতা, পড়াশোনায় অনগ্রসরতা, ডায়াবেটিস, মেনিনজাইটিস, ক্যান্সার, এলার্জির মতো রোগও হতে পারে। মায়ের দুধের ‘বিকল্প’ হিসেবে বা ‘সহযোগী’ হিসেবে গুঁড়ো দুধের প্রচারণা বন্ধ করতে বক্তারা আহবান জানান।
Leave a Reply