জকিগঞ্জে ব্যাংক ব্যবস্থাপকের অবহেলায় শিক্ষকদের চরম ভোগান্তি

জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: জনতা ব্যাংক জকিগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপকের অবহেলায় শিক্ষকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষকরা এ অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ২১ তারিখের মধ্যে বেতন উঠানোর নির্দেশনা থাকলেও জনতা ব্যাংক জকিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক এ কে এম সাজেদুল ইসলামের অবহেলায় শিক্ষকরা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে বেতন উঠাতে পারছেন না। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্ধারিত তারিখ পেরিয়ে গেলেও ব্যাংক ব্যবস্থাপক শিক্ষকদের বেতন বিলের কপি জমা নিচ্ছেন না। অথচ সিলেটের অন্য উপজেলার সকল এমপিও মাদ্রাসার শিক্ষকরা নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই বেতন পেয়েছেন। গতকাল ২৫ মার্চ পর্যন্ত জকিগঞ্জের কোন মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেতন উঠাতে পারেননি বলে তাদের অভিযোগ।

জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষকরা নির্ধারিত তারিখের আগেই বিলের কপি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের কাছে জমা দিতে দিয়েছিলেন কিন্তু ব্যাংক ব্যবস্থাপক ফিরিয়ে দেন। সর্বশেষ সোমবার আবারো শিক্ষকরা ব্যাংক ব্যবস্থাপকের কাছে বেতন বিলের কপি জমা দিতে চান কিন্তু তিনি ফিরিয়ে দেন। পরে ক্ষোব্ধ হয়ে শিক্ষকরা ব্যাংক ব্যবস্থাপকের কাছে এর লিখিত ব্যাখ্যা চাইলে তিনি ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকার করেন বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

জকিগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ইমাদ উদ্দিন ও রফিকুল ইসলাম জানান, প্রয়োজন মত আমরা বেতন উঠাতে পারিনা। বেতনের জন্য ব্যাংকে গেলেই ব্যবস্থাপক তারিখ দিয়ে বসেন। বিভিন্ন সময় তিনি শিক্ষকদের কটু কথা বলেও অপমান করে থাকেন। শিক্ষকদের সাথে ব্যাংক ব্যবস্থাপকের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।

জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নূরুল ইসলাম বেতন না পাওয়ার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেশীর ভাগ শিক্ষক বেতন নির্ভরশীল। সারাটি মাস ধার করে সংসার চালান। এরপর মাস শেষে শিক্ষকরা ব্যাংক থেকে বেতন তুলতে ভোগান্তিতে পড়েন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখা জরুরী।

 

এ নিয়ে জনতা ব্যাংক জকিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক এ কে এম সাজেদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ সমস্যা শুধু জকিগঞ্জ কেন্দ্রীক নয়। সারাদেশেই একই অবস্থা। এমপিও জটিলতার কারণে শিক্ষকদের বেতন দেয়া যাচ্ছেনা। কোন উপজেলায়ই শিক্ষকদেরকে বেতন দেয়া হয়নি। চিঠি সংক্রান্ত সমস্যায় শিক্ষকদের বেতন আটকা পড়েছিলো। আজ (সোমবার) চিঠি পাওয়া গেছে শিক্ষকদেরকে বেতন দেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর