জকিগঞ্জে প্রাক্তন মন্ত্রী এম এ হকের স্মরণ সভা সম্পন্ন

জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: প্রাক্তন ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী এবং পুলিশের সাবেক ডিআইজি জকিগঞ্জের কৃতিসন্তান এম এ হকের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি বলেছেন, এম এ হক ছিলেন একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক। তিনি সারাজীবন মানুষের ভাগ্যর উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। উন্নয়নের জন্য বর্তমান সময়ে এম এ হকের মত একজন মানুষের খুবই প্রয়োজন। শিক্ষার উন্নয়নে এম এ হক ব্যাপক কাজ করে গেছেন। তিনি শুধু সিলেটবাসীর উন্নয়ন করেছেন তা নয়, যেখানেই গেছেন তিনি সেখানেই উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সকল ক্ষেত্রে এম এ হকের উন্নয়নের স্মৃতি রয়েছে। এম এ হক পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিলেও মানুষ কখনো তাঁকে ভূলতে পারবে না। এম এ হকের শুণ্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।

বিভিন্ন বক্তার বক্তব্যের জবাবে তিনি আরও বলেন, এম এ হক আমার শশুড় হিসেবে জকিগঞ্জবাসী আমার আত্মার আত্মীয়। জকিগঞ্জের যেকোন সমস্যায় আমি পাশে থাকবো। সীমান্তঞ্চলের নদী ভাঙন রোধে ও পৌরসভার ভবন নির্মাণে ভূমিকা রাখবেন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটা ইঞ্চি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমার শশুড় এম এ হকও নদী ভাঙন ঠেকাতে ভারতীয় আগ্রাসন মোকাবেলা করেছেন, আমিও সীমান্তবাসীর নদী ভাঙন রোধে চেষ্ঠা চালিয়ে যাবো। পৌরসভার ভবন নির্মাণে আমি যা যা করার তা করবো।

শুক্রবার বেলা ৩ টায় শহরের এম এ হক চত্তরে জকিগঞ্জ এম এ হক স্মৃতি সংসদের আয়োজিত স্মরণ সভায় স্মৃতি সংসদের সভাপতি আমাল আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোছলেহ উদ্দিন সুহেল এবং যুবলীগ নেতা ফয়েজ আহমদের যৌথ উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মরহুম এম এ হকের কন্যা শিল্প উদ্যোক্তা ও সংগীত ব্যক্তিত্ব রেহানা আশিকুর রহমান বলেন, আমার বাবা জকিগঞ্জবাসী তথা সিলেটবাসীর উন্নয়নের জন্য মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। বাবার মত আমিও জকিগঞ্জের মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশেক রহমান বলেন, আমার নানা এম এ হক ছিলেন একজন কর্মবীর। মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে তিনি সারাজীবন কাজ করেছেন। তিনি শুধু সিলেটবাসীর নয়, সারাদেশের এক মহান নেতা ছিলেন। তাঁর উন্নয়ন কর্মকান্ড দেশের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে। বক্তব্যে তিনি সীমান্তঞ্চলের নদী ভাঙনসহ সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন বলে আশ্বস্থ করেন।

স্মরণ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন, জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী খলিল উদ্দিন, জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাকীম হায়দর, রাজনীতিবীদ এমএ মালেক, মোস্তফা কামান্ডার, এম এ হাফিজ বকুল, ফুরকান আহমদ মুন্সি, এডভোকেট ফয়জুল হক, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য আল মামুন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল আহাদ, ইমাম আব্দুল মালিক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র বাবুল হোসাইন, কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন নজরুল, ব্যবসায়ী জামাল খাঁন, জাফরুল ইসলাম, শিক্ষক হিফজুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে দেন। মানপত্র পাঠ করে ব্যবসায়ী আফতাব আহমদ। অনুষ্ঠান শুরু আগে অতিথিবৃন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।

এ সময় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবীদ ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিপুল পরিমান জনতা উপস্থিত ছিলেন। স্মরণ সভার আগে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি কুশিয়ারা নদীর ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং এম এ হকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জকিগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুম্মার নামাজের পর অনুষ্ঠিত দোয়া মহফিলে অংশ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর