::মাওলানা মঈজ উদ্দিন চৌধুরী::
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের বিভিন্ন সভায় রোহিঙ্গাদের বিষয়টি ৫টি প্রস্তাবসহ উত্থাপন করেছেন। রাখাইন রাজ্যে তাদেরকে র্নিমূল করতে এবং দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করতে আনান কমিশনের সুপারিশ পৌছার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আরসার আক্রমনের অজুহাত দেখিয়ে এ জাতিগত নিধন চালানো হচ্ছে। এই হত্যাযঞ্জের অপরাধ যাতে আরসার উপর ফেলা যায় সেই উদ্দেশ্যে নিজেদের কোন গ্রুপ দিয়ে এ রকম আক্রমন করানো হতে পারে।
চীন, রাশিয়া ও ভারতের সমর্থন থেকে বুঝা যাচ্ছে নিধনযজ্ঞটি পরিকল্পিত। আর্ন্তজাতিক চাপ এবং কুটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে আশা রাখছি তারা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং নাগরিক সকল অধিকার পেয়ে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করবে। তবে এর পূর্ব পর্যন্ত যাতে শান্তিতে বেঁচে থাকতে পারে সেজন্য দেশী বিদেশী ত্রাণ তাদের প্রত্যেকের হাতে পৌছা প্রয়োজন। দেশের এবং বিদেশের যেকোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান সহজে সাহায্য পাঠানোর জন্য একটি ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার সকল জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশের জন্য মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছি। মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই তিনি তাঁর মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীদের একদিনের বেতন রোহিঙ্গাদের ত্রান হিসেবে প্রদান করেন। অনান্য মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারী চাকরিজীবিরা এ পথ অনুসরন করা প্রয়োজন।
বিপন্ন রোহিঙ্গাদের সাম্প্রতিক কষ্ট লাঘব করার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকা আবশ্যক। আর্ন্তজাতিক আদালতে মামলা দেয়ার কোন সুযোগ থাকলে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদেরকে শাস্তির সম্মুখিন করা এবং মুসলমানদের রক্তপন আদায় করা খুবই জরুরী।
লেখক: শিক্ষক।
Leave a Reply