নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: সিলেটের জকিগঞ্জের গোলাম মোস্তফা চৌধুরী একাডেমীর অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মোশারফ আহমদ চৌধুরী নুসরাবের খুনিদের চিহ্নিত করে দ্রæত বিচারের আওতায় আনার দাবীতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। সোমবার দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার রতনগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন ও পথসভা করা হয়।
পথসভায় গোলাম মোস্তফা চৌধুরী একাডেমীর সিনিয়র শিক্ষক সুলতান আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ছাত্রনেতা আজহার চৌধুরীর পরিচালনা বক্তব্য শিক্ষক শাহিন আহমদ, রতনগঞ্জ বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক চেরাগ আলী, সাবেক ছাত্রনেতা সারোয়ার হোসাইন চৌধুরী রাজা, মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বকুল, স্টুডেন্ট ডেপোলাপমেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি বাবর হোসাইন চৌধুরী, আলোর দিশারী সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক মউদুদ আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছামাদুর রেজা চৌধুরী, নিহত মুসরাফ এর বাবা জামিল আহমদ চৌধুরীসহ স্কুল শিক্ষার্থী ও এলাকার ব্যক্তিবর্গ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীদের চাপে স্কুলছাত্র মোশারাফ আহমদ চৌধুরী নুসরাব হত্যা মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই। অভিযুক্তদের স্বজনরা প্রভাবশালী হওয়ায় হত্যার কারণ উদঘাটন ও মূল আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারছে না। অবিলম্বে হত্যায় জড়িত মূল আসামিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে বক্তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান। নিহত মোশারাফ আহমদ নুসরাবের বাবা এবং হত্যার মামলার বাদী জামিল আহমদ চৌধুরী দাবি করে বলেন, তার ছেলে হত্যার প্রায় চার মাস পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়নি। নুসরাব হত্যার তদন্তে অগ্রগতি নেই। মামলাটি পিবিআই বা সিআইডির কাছে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য হস্তান্তর করতে তিনি গত মাসে পুলিশ সদরদপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো মামলা স্থানান্তর করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী একাডেমীর অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মোশারফ আহমদ চৌধুরী নুসরাব বিকেলে বাড়ি থেকে পাশ্ববর্তী গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে যাবার কথা বলে কথা বলে বেরিয়ে যায়। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিলো। পাঁচ দিন পর ১১ ফেব্রুয়ারি মোশারাফ আহমদ চৌধুরী নুসরাবের লাশ উদ্ধার করা হয় স্থানীয় বালাই হাওরের কুছিরখাল থেকে। ওই দিন জামিল আহমদ চৌধুরী বাদী হয়ে ছেলেকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার কিছুদিন পর পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে মোশারাফ আহমদ চৌধুরী নুসরাবের আত্মীয় ও প্রতিবেশী রাশেদ আহমেদ চৌধুরী এবং ফরহাদ আহমেদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। সম্প্রতি ফরহাদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুকান্ত চৌধুরী জানান, পুলিশের তদন্তকাজে কারো কোন চাপ নেই। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কর্মকর্তা কাজ করে যাচ্ছেন। মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সম্প্রতি পুলিশ সদর দফতর থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে। আমরা তথ্য পাঠিয়েছি। হত্যা মামলায় কারও প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই।
Leave a Reply