নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনেকটা টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজের খবর পাওয়া যায়। জাল ভোট প্রদানের সময় হাজী তৈয়ব আলী মাদ্রাসার ভোটকেন্দ্রে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উত্তরকুল ভোটকেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী লোকমান উদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকরা প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরানের এজেন্টদের মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। লোকমান উদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকদের মারধরে প্রার্থী মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরানের এজেন্ট জাকারিয়া আহমদসহ অন্য এজেন্টরা আহত হন। এরমধ্যে গুরুতর আহত জাকারিয়া আহমদকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়াও উপজেলার আরো কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে টানটান উত্তেজনা দেখা গেছে। তবে ভোটার উপস্থিতি অনেকটা কম ছিলেন।
সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো। অনেক এলাকায় এখনো বন্যার পানি রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেননি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী জমিয়ত নেতা মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরান অভিযোগ করে জানান, গৌছ আলী রসুলপুর বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র, বাদেদেওরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র, ছোট মাতারগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র, জামালপুর ভোটকেন্দ্র, কলাকুটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্ঠা করেছেন লোকমান উদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকরা। তাঁর একজন এজেন্ট ভোটকেন্দ্র দখলের সময় বাধা দেওয়ায় মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী লোকমান উদ্দিন চৌধুরী জানান, মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরানের সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। আমার সমর্থকরা কাউকে বের করে দেয়নি। তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতিতে ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আফসানা তাসলিম জানান, জাল ভোট প্রদানের সময় একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। তাছাড়া কোন জাল ভোটের খবর পাওয়া যায়নি। উত্তরকুল ভোটকেন্দ্রে মাওলানা বিলাল আহমদের এজেন্টরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। উপজেলার কোন ভোটকেন্দ্র থেকে কারো এজেন্ট বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। সকল ভোটকেন্দ্রে সকল প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে। পুরোপুরি হিসেব এখনো আসেনি বলে জানান।
Leave a Reply