জকিগঞ্জে প্রেম প্রত্যাখান করায় জুসে বিষ মিশিয়ে স্কুল ছাত্রীকে হত্যা! (ছবি: প্রতীকী)

জকিগঞ্জে প্রেম প্রত্যাখান করায় জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে স্কুল ছাত্রীকে হত্যা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: সিলেটর জকিগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় জুসের সঙ্গে বিষ জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তামান্না আক্তার তানিয়া (১৫) নামের অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। ময়না তদন্ত শেষে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় পারিবারিক কবরস্থানে লাশের দাফন করা হয়েছে। এরআগে গত ১৯ জুলাই সকালে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করার জেরে স্কুলে যাওয়ার পথে বিষ মিশানো জুস খাওয়ানো হয় ওই স্কুলছাত্রীকে। ঘটনাটি উপজেলার গণিপুর গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় কালন আহমদকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহত স্কুলছাত্রীর পিতা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গণিপুর গ্রামের রশিদ আলীর ছেলে কালন আহমদ (২২) একই গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্কুল পড়–য়া কিশোরী মেয়ে তানিয়াকে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে উত্যক্ত করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব। এ বিষয়ে স্কুলছাত্রীর পিতা কালনের অভিভাবকদের কাছে নালিশ করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে দিন দিন কালনের উত্যক্ততা বাড়তে থাকে।

একপর্যায়ে গত ১৯ জুলাই সকালে ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার পথে কালন একটি জুস দিয়ে সেটি পান করতে বলে। মান-ইজ্জতের ভয়ে সে সময় স্কুলছাত্রী জুস পান করে বিদ্যালয়ে চলে যায়। কিন্তু স্কুলে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে যায় এবং পরিবারের লোকদের কাছে বিষয়টি জানায়। তখন ঘটনা উল্লেখ করে একটি চিরকুটও লিখে রাখে ওই ছাত্রী। এরপর অসুস্থ স্কুলছাত্রীর পিতা তাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে বিষ জাতীয় দ্রব্য খাওয়ার আলামত পেয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুর কাছে হার মানে স্কুলছাত্রী তানিয়া। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কালন পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জকিগঞ্জ থানার ওসি মো. মোশাররফ হোসেন জকিগঞ্জ টুডেকে জানান, স্কুলছাত্রীকে জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। ঘটনার পরপরই সে এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। তার মুঠোফোনের অবস্থানও শনাক্ত করা যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর