জকিগঞ্জে ব্যালট বাক্স ছিনতাই: মেম্বারপ্রার্থী কারাগারে, ৮/১০জনকে আসামী করে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বুধবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে বাক্স ভেঙে ব্যালট পেপার পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ঐ ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জায়েদ আহমদ। বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত ৮/১০জনকে আসামী করে তিনি বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় মাখন মিয়া নামের এক মেম্বার প্রার্থীকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। মামলা রের্কডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গ্রেফতার মাখন মিয়াকে জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোটের দিন বিকেল সোয়া ৩টার দিকে হঠাৎ করে উশৃঙ্খল কয়েকজন ভোটার গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঢুকে দুটি বুথের ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে বাক্সগুলো ভেঙ্গে সব ব্যালট পেপার পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন। এ সময় কেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা দেখা দেয়। এ কারণে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শুক্কুর মাহমুদ ভোট গ্রহণ ও ফলাফল স্থগিত করেন। ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক গণিপুর গ্রামের জামায়াত আহমদ চৌধুরী ও মেম্বার প্রার্থী মাখন মিয়ারকে সন্দেহজনভাবে আটক করে পুলিশ। পরে ঐ দিন রাতে জামায়াত চৌধুরীকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। কিন্তু মাখন মিয়াকে ছাড়েনি পুলিশ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেম্বার প্রার্থী মাখন মিয়াকে ছাড়িয়ে নিতে ৩ ট্রাক মানুষ নিয়ে থানায় যান সুলতানপুর ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। কিন্তু কোনভাবেই মাখন মিয়াকে ছাড়িয়ে নিতে পারেননি তিনি।

সুলতানপুর ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালেট বাক্স ছিনতাইর ঘটনায় জড়িতদের আটক করা হয়নি। রহস্যজনক কারণে মামলায়ও নামোল্লেখ করা হলো না। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী থানা পুলিশের কাছ থেকে রাতে তাঁর ভাতিজাকে ছাড়িয়ে নিলেন কিন্তু নিরপরাধ মাখন মিয়াকে হাজতে রেখে গেলেন। এ কারণে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। মেম্বার প্রার্থী মাখন মিয়া ব্যালেট বাক্স ছিনতাইর ঘটনায় জড়িত নয়। নৌকার প্রার্থী ও তার চাচাতো ভাই কামরান চৌধুরীর নেতৃত্বে যারা ব্যালেট বাক্স ছিনতাই করে পুকুরে ফেলেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে তিনি দাবী জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার ওসি আবুল কাসেমের মোবাইল ফোনে বার বার কল করার পরও তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর