কনকনে শীত উপেক্ষা করে রাতেও ঈসালে সাওয়াবে মানুষের ঢল

আল হাছিব তাপাদার, জকিগঞ্জ টুডে:: প্রখ্যাত বুযুর্গ, শাসছুল উলামা আল্লামা আবদুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী (র.)-এর ১২তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার ফুলতলী ছাহেব বাড়ি সংলগ্ন বালাই হাওরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল ঈসালে সাওয়াব মাহফিল।

মাহফিল উপলক্ষে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুরিদীন-মুহিব্বীনরা নিভৃত পল্লী ফুলতলী ছাহেব বাড়ী পাশের বালাই হাওরে এসে অবস্থান নেন। সময় বাড়ার সাথে সাথে জনস্রোত বাড়তে থাকে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জনসমাগম বাড়তে বাড়তে এক সময় ফুলতলী গ্রাম জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

মাহফিলে মুরিদীন-মুহিব্বীনের উদ্দেশ্যে তা’লীম-তরবিয়ত পেশ করেন আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর সুযোগ্য উত্তরসূরী উস্তাযুল উলামা ওয়াল মুহাদ্দিসীন, মুরশিদে বরহক হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী বড় ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ইসলাম আল্লাহর মনোনীত শ্রেষ্ঠ দ্বীন। অন্যান্য দ্বীনের সাথে এর তুলনা করলে আমাদের মাথা সিজদাবনত হয়ে বলতে বাধ্য হবে- আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল।

তিনি বলেন, সব ধর্ম ও ইজম সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। এক্ষেত্রে মূল কিতাব অধ্যয়ন করা জরুরি। কেননা ভুল ব্যাখ্যা পড়লে বিভ্রান্ত হতে পারেন। পাশাপাশি সীরাত অধ্যয়ন করুন। আপনার নিকট দিবালোকের ন্যায় ভেসে উঠবে পৃথিবী কেমন অন্ধকারে আচ্ছাদিত ছিল আর সিরাজাম মুনীরার আলোয় কিরূপ আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছে। তিনি মা-বাবার খেদমতের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, যখন মা জননী ছিলেন, শিশুর মতো তাঁর কাছে বসতাম। তিনি মাথায় হাত বুলাতেন। আজ তিনি নেই। গভীর রজনীতে কে আমাকে স্মরণ করবে? আমরা যেন মা-বাবাকে স্মরণ করি, তাদের জন্য নয়নের জল ফেলি। মা-বাবা জীবিত থাকলে যেন তাদের খেদমত করি।

তিনি বলেন, এতীম-অনাথ-মজলুম মানুষের আসরে আমাকে উপস্থিত হতে হয় তাই সাধারণত বড় মাহফিলে উপস্থিত হতে পারি না। নাফ নদীর তীরে মিয়ানমারের কত মজলুম মানুষের স্মৃতি অবলোকন করেছি। সমাজের এ সকল অসহায় মানুষের জন্য আমরা যেন খেদমত অব্যাহত রাখি।

আলিমদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেরা পড়া-শুনা করুন, দ্বীনের গভীর জ্ঞান অর্জন করুন, মানুষকে পথের দিশা দিন। হাফিযে কুরআন যারা আছেন পবিত্র কুরআনকে হিফাযত করুন, যেন এ কুরআন বুকে ধারণ করে হাওযে কাওসারের পাশে উপনীত হতে পারেন। সাধারণত পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়। যথাসম্ভব হিংসা-বিদ্বেষের পরিবেশ থেকে দূরে থাকুন, প্রতিবেশীর প্রতি সদয় হোন, পরষ্পরের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক বিস্তার করুন। তিনি শ্বাস-প্রশ্বাসের যিকিরের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, শ্বাসের যিকিরের মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি লোমকূপ আল্লাহর যিকিরে প্রকম্পিত হয়। তাই এর প্রতি মনোযোগী হোন।

লাখো মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ মাহফিল সকাল ১০টায় আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর খতমে কুরআন, খতমে বুখারী, খতমে খাজেগান, খতমে দালাইলুল খাইরাতের পাশাপাশি স্মৃতিচারণমূলক ও জীবনঘনিষ্ট আলোচনায় অত্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশে অতিবাহিত হয় পুরো দিন-রাত।

সরেজমিন দেখা গেছে, কোরআন শরীফ ও দুরুদ শরীফ পাঠ, তসবীহ-যিকির এবং মাজার জিয়ারত করে প্রিয় মুর্শিদ আল্লামা ফুলতলী রা. এর ওফাত দিবসকে স্মরণ করছেন মুরিদীন-মুহিব্বীনরা। বিশাল জামায়াতে আদায় করা হয়েছে প্রতিটি ওয়াক্তের নামাজ। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ-আনসারসহ নিজস্ব সেচ্ছাসেবক টিম ছিলেন সর্তক অবস্থানে। পুরো এলাকা ছিলো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। আশেকানরা জিকির আযকারে মাজারের পাশে ও মাহফিলে মশগুল ছিলেন। জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ছিলো নানা তৎপরতা। একের পর একে ছোট বড় গাড়ীতে চড়ে গভীর রাতেও আশেকানরা ফুলতলী ছাহেব বাড়ীতে এসে পৌছেন আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে। বৃহত্তর জামায়াতে ফজরের নামাজ আদায় শেষে বিশ্ব উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করবেন আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর সুযোগ্য উত্তরসূরী উস্তাযুল উলামা ওয়াল মুহাদ্দিসীন, মুরশিদে বরহক হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী বড় ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী।

বাংলাদেশ আন্জুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী’র উপস্থাপনায় মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাসূলে পাক (সা.)-এর ৩৩তম ও বড়পীর হযরত আবদুল কাদির জিলানী (র.)-এর ১৯তম অধ:স্তন বংশধর বিশিষ্ট বুযুর্গ শায়খ সায়্যিদ আফীফুদ্দীন জিলানী আল বাগদাদী। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত শায়খুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমান, ভারতের উজানডিহির পীর ছাহেব হযরত মাওলানা সায়্যিদ মোস্তাক আহমদ আল মাদানী, সায়্যিদ জুনাইদ আহমদ আল মাদানী, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ হযরত আল্লামা নজমুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক মাওলানা কবি রূহুল আমীন খান, মাওলানা শিহাব উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, মুফতী মাওলানা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, যুক্তরাজ্যের ব্রিকলেন জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব মাওলানা নজরুল ইসলাম।

আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের জেনারেল সেক্রেটারি হাফিয মাওলানা ফখরুদ্দীন চৌধুরী, জালালপুর জালালিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জ.উ.ম আব্দুল মুনঈম, সৎপুর দারুল হাদীস কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ছালিক আহমদ, বুরাইয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফারুকী, জকিগঞ্জ সিনিয়র মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মোশাহিদ আহমদ কামালী, দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিছ মাওলানা বদরুজ্জামান রিয়াদ, মাওলানা মারজান আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

মাহফিলে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের সংসদ সদস্য ড. হাফিজ আহমদ মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা এ.কে.এম মনোওর আলী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, বিশিষ্ট আলিমে দ্বীন মাওলানা আব্দুশ শাকুর চৌধুরী ফুলতলী, দারুল হাদীস লাতিফিয়া ইউকে’র সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা ইলিয়াছ হোসাইন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি’র ভিজিটিং ফেলো আনোয়ার আলী, যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ এর ডেপুটি মেয়র দিলওয়ার আলী, ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও সিলেট সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের প্রিন্সিপাল কবি কালাম আজাদ, আনজুমানে আল ইসলাহর সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, সৎপুর কামিল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা শফিকুর রহমান, মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম সিদ্দিকী, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, ইকড়ছই আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ছমির উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ নূরী, পীর আখলু মিয়া, কারী আব্দুর রহমান নিজামী, বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী, মুফতী শাহ আলম জিহাদী, ড. সাইফুল ইসলাম আল আযহারী, শামসেবাদ দরবারের পীর ছাহেবজাদা মাওলানা জামিলুর রহমান প্রমুখ।

অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রহীম, রাখালগঞ্জ সিনিয়র মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা হবিবুর রহমান, জকিগঞ্জ ফাজিল সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নূরুল ইসলাম, সৎপুর কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবূ জাফর মুহাম্মদ নুমান, মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শামসুল ইসলাম, মাথিউরা সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল আলিম, মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স এর সহ-সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মিল আলী শরীফ, স্কুল অব এক্সেলেন্স-এর প্রিন্সিপাল মাওলানা গুফরান আহমদ চৌধুরী, আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবূ ছালেহ মুহাম্মদ কুতবুল আলম, মাওলানা ফজলুর রহমান চৌধুরী ছাহেবজাদায়ে শিঙ্গাইরকুড়ি, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ফরিদ আহমদ, সৎপুর দারুল হাদীস কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা ছালেহ আহমদ বেতকোণী, আনজুমানে আল ইসলাহ’র কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, পাঠাগার সম্পাদক হাফিয মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা বেলাল আহমদ, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি আখতার হোসাইন জাহেদ, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূনুর রহমান লেখন, সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যকল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ্জ শেখ মখন মিয়া, বিশ্বনাথ আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নুমান আহমদ, ভারতের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আজিজুর রহমান তালুকদার, ফরিদপুর জেলা পুলিশের এএসপি নোমান আহমদ, লতিফিয়া দারুল কিরাত সমিতি, উত্তর পূর্বাঞ্চল, আসাম’র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার উদ্দিন, মাওলানা কাজী আলাউদ্দিন আহমদ, বিশিষ্ট সমাজসেবী আলহাজ্ব নেছার আহমদ, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুল হক খান শাহেদ, ঢাকা জেলা লতিফিয়া কারী সোসাইটির সভাপতি মাওলানা আবু সাদেক মুহাঃ ইকবাল খন্দকার, মাদার বাজার আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ড. সৈয়দ শহীদ আহমদ বোগদাদী, জকিগঞ্জ সিনিয়র মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা এখলাছুর রহমান, চান্দগ্রাম সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, ছাতক জালালিয়া আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল আহাদ, এলাহাবাদ আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবূ তাহির হোসাইন, হাউসা আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজ আহমদ, হবিগঞ্জ দারুস সুন্নাত আলিয়া মাদরাসার মাওলানা ফরিদ আহমদ, তিলক চানপুর আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল জব্বার চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল আলিম, মাওলানা আজিজুর রহমান ধনপুরী, মাওলানা সৈয়দ ইউনুছ আলী প্রমুখ। মাহফিলে ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের জাতীয় হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরষ্কার ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর