আল হাছিব তাপাদার:: দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৮ মার্চ জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিলো বুধবার। শেষ দিনে জকিগঞ্জে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোন প্রার্থীই প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি। ফলে নির্বাচনী মাঠে চেয়ারম্যান পদে ৪, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা আহমদ চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো.আব্দুস সামাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুয়েব আহমদ লস্কর। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাকিম হায়দর, উপজেলা শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সজল কুমার সিংহ, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল আহাদ, সিলেট মহানগর আল ইসলাহর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.আব্দুস সবুর, যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম সোহেল, যুবলীগ নেতা শামীম হোসেন, ফজলে আশরাফ মান্না। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেত্রী ইয়াহইয়া বেগম, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদা রওশন শ্যামলী, বিএনপি সমর্থক সুলতানা আক্তার, আওয়ামীলীগ নেত্রী ইউপি সদস্য মোছা. রুশনা বেগম রফা ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারী মনোনয়নপত্র বাছাইর দিন হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সামাদ, ভোটারদের স্বাক্ষরে ত্রুটি থাকায় সজল কুমার সিংহ ও আব্দুল আহাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন রির্টানিং কর্মকর্তা। পরে আপিলের মাধ্যমে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সামাদ ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সজল কুমার সিংহের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। আব্দুল আহাদ মনোনয়ন ফিরে পেতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বুধবার উচ্চ আদালত আব্দুল আহাদের মনোনয়নপত্র বহাল করেন।
অন্যদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার গুঞ্জন ছিলো। আওয়ামীলীগ প্রার্থী আলহাজ¦ লোকমান উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষ থেকে সমঝোতার চেষ্ঠা করা হয়। কথা ছিলো উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ¦ লোকমান উদ্দিন চৌধুরীকে সমর্থন জানিয়ে অন্য ৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ভোটের মাঠে ৪ জন প্রার্থী থেকেই গেলেন।
Leave a Reply