এবারের নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকছেনা

দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকছে না নির্বাচনী আইনে। তবে আগে থেকেই যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর শর্ত পুরণ করে মনোনয়ন ফরম জমা দিবেন তাদের জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।

নির্বাচন কমিশনের বিদ্যমান নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে কে কার সঙ্গে জোটবদ্ধ নির্বাচনে আগ্রহী তা রবিবারের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানাতে হবে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত কোন দলের প্রার্থী নিবন্ধিত দলের প্রতীকে নির্বাচনের সুযোগ থাকবে।

ইসি কার্যালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিন দিনের মধ্যে জোটবদ্ধ দলগুলোকে তাদের অবস্থান জানিয়ে ইসিকে চিঠি দিতে হবে। সেই হিসেবে রোববারের মধ্যেই দলগুলোকে নিজেদের অবস্থান জানাতে হবে। অন্যথায় একদলের প্রতীক অন্যদলের প্রার্থী ব্যবহারের সুযোগ পাবেন না। ইসির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা শুক্রবার সব রাজনৈতিক দলকে জানিয়ে দিয়েছে।

এছাড়া নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার ব্যানার দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী আগামী ১৪ নভেম্বর রাত বারোটার আগেই নিজ খরচে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। এ নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যমান আরওপি অনুযায়ী এসব প্রার্থীরা দলীয় পরিচয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে যদি তারা প্রতীক বরাদ্দের চিঠি না পান তবে তাদের প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যাবে। কারণ কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি কোন দলের মনোনীত তা ফরমে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। যে দলের মনোনীত ওই দলের প্রধানের সই করা প্রতীক বরাদ্দের চিঠি না পেলে তিনি আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও ভোটের মাঠে থাকতে পারছেন না।

এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তরা আগেই জানিয়েছেন, আইনগত দূর্বলতার কারণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিবন্ধিত বা নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হয়েছে এমন দলের নেতাদেরও জোটভুক্ত হয়ে নিবন্ধিত কোন দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে। তবে জোটের যে দলের প্রতীকে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সে দলের প্রার্থী হিসেবেই গণ্য হবেন তারা।

এর আগে ইসিতে গিয়ে একাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত ইসলামের নেতাদের প্রার্থী হওয়ার পথ বন্ধ করতে ইসিকে উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার ইসি সচিব জানিয়েছেন, আইনগতভাবে সেই সুযোগ নেই। অন্য যে কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীকে অথবা স্বতন্ত্র হিসেবে তারা প্রার্থী হতে কোন বাধা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর