১২ জানুয়ারি থেকে আ’লীগের নির্বাচনী সফর

রাত পেরুলেই নতুন বছরের শুরু। সেই সঙ্গে শুরু নির্বাচনী বছরও। কেননা ২০১৮-এর ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে এবং টানা তৃতীয় বারের মতো জয়ী হতে বদ্ধপরিকর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাই ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত দলটির মূল লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্যকে কেন্দ্র করেই নেয়া হয়েছে নানা পরিকল্পনা। এর মধ্যে প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে সারাদেশে সাংগঠনিক সফর। এর জন্য ৩০টি টিমও গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলো ১২ জানুয়ারি থেকে তাদের নির্বাচনী সফর শুরু করবে।

এ বিষয়ে পরিবর্তনের সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা বলেছেন, ১২ জানুয়ারি থেকে সফর শুরু হচ্ছে। নির্বাচনের সময় সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য যা যা করণীয়, সবই করা হবে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ২০১৮-এর জানুয়ারির ১২ তারিখ থেকে ৩০টি দলে বিভক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতারা বেরিয়ে পড়বেন সারাদেশ সফরে। এই সময়ে তারা দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মিটিয়ে আওয়ামী লীগকে আরো সুসংগঠিত এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করতে কাজ করবেন। মানুষের দ্বারে দ্বারে যাবেন। ভোটও চাইবেন। বিএনপি-জামায়াতের অপরাজনীতির প্রভাব সম্পর্কেও অবহিত করবেন। দলকে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আনাই হলো নতুন বছরের নতুন টার্গেট। বিষয়টি মাথায় রেখেই নতুন বছর পথ চলবে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন। এ লক্ষ্যেই কাজ করছেন দলের নেতাকর্মীরা। যাতে টানা তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারে। এরই অংশ হচ্ছে এই সাংগঠনিক সফর। এ লক্ষ্যে এর মধ্যে ৩০টি টিমও গঠন করা হয়ে গেছে। যেগুলোর নেতৃত্বে আছেন দলের সিনিয়র নেতারা। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়াই হচ্ছে এখন দলের মূল লক্ষ্য। এছাড়া ২০১৮তে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য বিএনপির নেগেটিভ পলিটিক্স ফেস করে প্রতিহত করাও।

আর দলটির দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ২০১৮-এর শুরু থেকেই দল গোছানোর বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। অভ্যন্তরীণ কোন্দল চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে। ৫ জানুয়ারি থেকেই সারাদেশে তৃণমূলে সভা-সমাবেশ করতে এরই মাঝে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর সাংগঠনিক জেলা সফরের মাধ্যমে দলকে সংগঠিত করা অনেক সহজ হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক পরিবর্তন ডটকমকে বলেন,  নির্বাচনে জয়লাভ করতে  দলকে রেডি করাই আমাদের ২০১৮ সালের টার্গেট। এজন্য দলকে আরও জনসম্পৃক্ত করা হবে। কোন্দল মেটানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর