আল হাছিব তাপাদার, জকিগঞ্জ টুডে:: প্রচণ্ড গরমের মাঝে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে সিলেটের জকিগঞ্জে চরম প্রভাব পড়ে। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা-বাড়িসহ মসজিদ মাদ্রাসায় বিশেষ করে পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পরে বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন বাজারের মার্কেট ও দোকানপাট। বিদ্যুৎ নির্ভর বিভিন্ন দোকানের ইলেক্ট্রিক মেশিনসহ বিদ্যুৎচালিত সকল ব্যবসা অচল হয়ে পড়ছে। এতে ব্যবসা বাণিজ্যে নেমে এসেছে স্থবিরতা। রাতে বাসা-বাড়ি ও অলি-গলিতে ভুতুড়ে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিদ্যুৎ আসলেও রাত ৮টার দিকে আবারও চলে যায়। বিদ্যুৎ কখন যে আসবে তারও কোন নিশ্চয়তা দিতে পারছে না পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবেও পূজার্থীরা পূজা-অর্চনা করতে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
জকিগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা শফিকুর রহমান বলেন, দুপুরের পর থেকে বিদ্যুৎ নেই। ফলে বাসায় পানির মোটর চালানো সম্ভব হয়নি। এ কারণে বাসার সবাইকে পানির সংকটে পড়তে হয়েছে। তাছাড়া প্রচÐ গরমে শিশুদের কষ্ট বেড়ে গেছে।
ভিডিও দেখুন এই লিংকে ‘জকিগঞ্জ আই টিভি’
জকিগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ী দেলোয়ার আহমদ বলেন, দুপুর থেকে বিদ্যুৎ নেই। ক্রেতা আসলেও অন্ধকারের কারণে দোকানে বসেনি। কেনাকাটা অনেকটা বন্ধ রয়েছে। আজ না হয় জাতীয় গ্রিডে সমস্যা। কিন্তু প্রায় সপ্তাহ দিন থেকে জকিগঞ্জে বিদ্যুৎ লোডশেডিং বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে।
জকিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর আলমগীর হোসাইন পুতুল জানান, দুপুর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় বসতবাড়িগুলোর ফ্রিজ, বাতি, ফ্যান বন্ধ রয়েছে। অনেক মসজিদে ওজুর পানি নাই। সন্ধ্যায় অনেক এলাকার বাড়ি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। অলি-গলিগুলো অন্ধকারে নিমিজ্জিত। বিদ্যুতের অভাবে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। জাতীয় গ্রিডের সমস্যা সমাধান হবার পর জকিগঞ্জের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
Leave a Reply