জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় রিমার স্বপ্নের সমাধি

জকিগঞ্জে সওজ’র জায়গায় অবৈধ স্থাপনা, পানি নিষ্কাশনে দুর্ভোগ

আল হাছিব তাপাদার, জকিগঞ্জ টুডে:: সিলেটের জকিগঞ্জের বাবুর বাজারে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। সওজের জায়গা দখলের কারণে যানবাহন চলাচলে ও ব্যবসায়ী-পথচারীদের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, সড়কের একপাশে ড্রেন নির্মাণ হলেও অন্যপাশে অবৈধ স্থাপনা রহস্যজনক কারণে উচ্ছেদ করা হয়নি। এ কারণে সড়কের উত্তরপাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি ও ময়লার স্তুপ জমে যায় সড়কের উত্তরপাশে। নোংরা পানিতে মশা মাছির উপদ্রবও মারাত্মক।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে নানা ধরনের দোকানপাট। ফলে সড়ক সরু হয়ে যান চলাচলে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানিও নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সরকারের উন্নয়ন। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরপরও সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কর্মকর্তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করায় কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি সরকারের বেহাত হয়ে গেছে।

সম্প্রতি সময়ে বাবুর বাজারের সড়ক ও জনপথের জায়গা অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করে সড়কের উত্তরপাশে ড্রেন নির্মাণের দাবী জানিয়ে গণস্বাক্ষরসহ সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিলেট সড়ক ও জনপথের প্রধান প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেন সুলতানপুর ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সুলতানপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাবু, বাবুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওলিউর রহমানসহ ১৭৬ জন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।

ক্যামেরার চোখে জকিগঞ্জ দেখুন এই লিংকে ‘জকিগঞ্জ আই টিভি’

অভিযোগে তাঁরা বলেন, জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের বাবুর বাজারে সড়ক ও জনপথের অনেক জায়গা রয়েছে। কিছুদিন আগে বাজারের পানি নিষ্কাশন, যানবাহন ও জনচলাচলের সুবির্ধাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. হাফিজ আহমদ মজুমদার ঘোষণা দিয়ে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ ও ড্রেন নির্মাণের উদ্বোধন করেন। এ সময় সড়কের দক্ষিণ পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ড্রেন নির্মাণ করা হলেও অদৃশ্য কারণে সড়কের উত্তরপাশের সওজের জায়গা দখলদারদের কবলে রেখে উচু বাঁধ নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখে তড়িগড়ি কাজ শেষ করে ফেলা হয়। এ কারণে বৃষ্টি হলেই সড়কের উত্তরপাশে পানি ও ময়লার স্তুপ জমে যায়। সওজের এমন কর্মকান্ড সকলের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আবেদনকারীরা জনস্বার্থে সড়কের উত্তরপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ড্রেন নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এবং জনচলাচলের প্রতিবন্ধিকতা দূরিকরণের দাবী জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনার কারণে পানি নিষ্কাশনের সমস্যা প্রকোট আকার ধারণ করেছে। ঈদের পর আমরা উচ্ছেদ অভিযান করবো। সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে রাখার সুযোগ নেই। রমজান মাসে মানবিক কারণে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছেনা।

উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সড়কের উত্তরপাশের সওজের জায়গা চিহ্নিত করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে বলা হয়েছে। সওজ এখনো তাদের জায়গা চিহ্নিত করেনি। সওজ তাদের জায়গা চিহ্নিত করলে সরকারি বরাদ্ধ দিয়ে সওজের জায়গায় জনচলাচলের জন্য ফুটপাত করে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর