জকিগঞ্জে দুই রির্টানিং কর্মকর্তার কোটি টাকার বাণিজ্য, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: পুলিশ

আল হাছিব তাপাদার, জকিগঞ্জ টুডে:: পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়া জকিগঞ্জের ৯টি ইউপি নির্বাচনের ফলাফল ভোটারদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অনেক চেয়ারম্যান ও সদস্যা প্রার্থীরা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখান করেছেন। অভিযোগ উঠেছে রির্টানিং কর্মকর্তা শাদমান সাকীব ও রির্টানিং কর্মকর্তা আরিফুল হক পুরো উপজেলায় প্রায় কোটি টাকার ব্যালেট বাণিজ্য করে সীল মারা, সীল ছাড়া ব্যালেট পেপার বিক্রি করেছেন। ভোট গ্রহণের দুই-তিন আগ থেকে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের ডেকে ডেকে তাদের অফিসে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা গোপন বৈঠক করে বিজয়ী করিয়ে দেবার চুক্তি করে বড় অঙ্কের লেনদেন করেন। কেউ তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করে আবার কেউ নাকচ করে সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছিলেন। সেই লেনদেন অনুযায়ী ভোটের দিন সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রে প্রথমে ব্যালেট পেপার কম দেন তারা। পরে ভোট কেন্দ্রে ব্যালেট পেপার পৌঁছে দেবার কথা বলে কেন্দ্রে গিয়ে রির্টানিং কর্মকর্তা শাদমান সাকীব ও রির্টানিং কর্মকর্তা আরিফুল হক সীল মারা ব্যালেট পেপার বাক্সে ঢুকিয়ে দেন।

ভোট গ্রহণের আগের মধ্যে রাতে প্রত্যাহার করা হয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে। এমনটা জানিয়েছেন, কাজলসার ইউপির লুৎফুর রহমান স্কুলের ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মাসুম মিয়া। মাসুম মিয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ভোটের আগের রাতে তাঁকে কাজলসার ইউপির লুৎফুর রহমান স্কুলের ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অনিবার্য কারণে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করে রাত ৪টায় ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন। ভোর বেলা উপজেলার কন্ট্রোল রুমে ব্যালেট পেপার বন্টনের সময় তিনি শুনেছেন ব্যালেট পেপার কম দেয়া নিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছে।

জানাগেছে, নির্বাচনে কিছু কিছু প্রার্থীদের সাথে চুক্তি ছিলো সীল ছাড়া ব্যালেট দেবেন। নিজ দায়িত্বে একই সাথে তিনটি প্রতীকের ব্যালেট পেপার বাক্সে ঢুকাতে হবে। আবার কারো সাথে চুক্তি ছিলো সীল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দেবেন রির্টানিং কর্মকর্তারা। কাজলসার ইউপিতে নৌকার প্রার্থীর সাথে ১৪ লাখ টাকা চুক্তি হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী সীল ছাড়া ব্যালেট পেপারও দিয়েছেন কাউকে, আবার কাউকে সীল দিয়ে বাক্সে ব্যালেট ঢুকিয়ে দিয়েছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ভোট গ্রহণ শেষে একাধিক ভোট কেন্দ্রে নকল সীলযুক্ত ব্যালেট পেপার দেখা গেছে বলে একাধিক প্রার্থীর এজেন্ট নিশ্চিত করেছেন।

চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা জানান, দুই রির্টানিং কর্মকর্তা ছাড়াও তাদের মনোনীত লোকরা জোর করে সীল মারা ব্যালেট পেপার ব্যালেট বাক্সে ঢুকিয়েছেন। রির্টানিং কর্মকর্তারা ও তাদের বিশ্বস্থ লোকজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অফিসে দরজা বন্ধ করে বৈঠকও করেন। এ নিয়ে প্রার্থী ও সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে রির্টানিং কর্মকর্তাদের তোপের মুখে পড়েন বলে জানিয়েছেন একাধিকজন। সুলতানপুর ইউপির গণিপুর ভোট কেন্দ্রে ব্যালেট বাক্সে সীল মারা ব্যালেট ঢুকানোর কারণে ভোটাররা উত্তেজিত হয়ে ব্যালেট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরে নিক্ষেপ করেন। এ কারণে ঐ ভোটকেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। পঞ্চম ধাপের জকিগঞ্জের ৯টি ইউপিতে নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোটের দিন ছিলো উত্তপ্ত। অনেক ওয়ার্ডে রহস্যজনক ভোট কাস্টিং নিয়েও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন প্রার্থী ও ভোটাররা। ভোটের আগের দিন থেকে রির্টানিং কর্মকর্তাদের ভোট বাণিজ্যের কথা চারিদেকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়েও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছিলো প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে। কিন্তু সেই আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়েছিলেন নির্বাচন কর্মকর্তা শাদমান সাকীব ও রির্টানিং কর্মকর্তা আরিফুল হক।

ভোটের দিন সকাল থেকে চুক্তি করা প্রার্থীদের বিজয়ী করার মিশন বাস্তবায়নে মাঠে নামেন রির্টানিং কর্মকর্তা শাদমান সাকীব ও রির্টানিং কর্মকর্তা আরিফুল হক। সব ইউপিতে মিশন বাস্তবায়ন শেষে ৩টা ৪০ মিনিটের সময় কাজলসার ইউপি ২২নং ভোটকেন্দ্রে কালো রঙের ঢাকা মেট্রোÑঠ ১৩-৭০২৮ গাড়ী নিয়ে পৌঁছান। তখন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করেন জেলা ম্যজিস্ট্রেট সিলেট, জেলা পুলিশ সুপার সিলেট ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তখন তাদের গাড়ী তল্লাসি করে চেয়ারম্যান নির্বাচনের ব্যালট পেপার সীলমার ৪০০ টি, সীল ছাড়া ৪০০টি, ইউপি সদস্য নির্বাচনের ব্যালেট পেপার সালমারা ৪০০টি এবং সীল ছাড়া ৪০০টি, মুড়ি বই মোট ৮টি, ব্যালট বাক্সের সিলগালা লক ৮ টি, ফেন্সিডিলের খালি বোতল একটি, নগদ ১লাখ ২১ হাজার ৫শত টাকা, ৪টি মোবাইল সেট পাওয়া যায়। সাথে সাথে কাজলসার ইউপি নির্বাচন স্থগিত করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শুক্কুর মাহমুদ। এরপর বিভিন্ন ইউপির ভোট গ্রহণ স্থগিত করার দাবী জানিয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন অনেক প্রার্থী ও সমর্থকরা। তারা দাবী করেন, শাদমান সাকীব প্রায় কোটি টাকার উপরে বাণিজ্য করে জনগনের ভোটাধিকার হরণ করেছেন। টাকার বিনিময়ে অনেক প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। জকিগঞ্জের সবকটি ইউপির ফলাফল বাতিল করে পুণভোট গ্রহণ করে সরকারের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।

বিকেলে জকিগঞ্জ থানার এসআই হাসিবুল হাসান ১৭৪ নং ডায়রী মূলে জব্দ তালিকা করেন। এ ঘটনায় কাজলসার ইউপির মরিচা ভোট কেন্দ্রের আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত জৈন্তা থানার এএসআই আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ এর ৭৭ (গ) (ঘ) (আ)/৮০/৮১ ধারায় সরকারী পদমর্যাদার অপব্যবহার করতঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে ব্যালেট পেপার ও ব্যালেট পেপার বই দখলে রাখার অপরাধে এই দুই রির্টানিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রির্টানিং কর্মকর্তারা কারাগারে রয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সুমন চন্দ্র সরকার কোটি টাকার লেনদেন প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, পুলিশ এখনো তদন্ত করছে। দুই রির্টানিং কর্মকর্তাকে রিমান্ডে এনে সকল ব্যাপারেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে শাদমান সাকীবকে কারাগারে প্রেরণের আগে থানা হাজত থেকে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীকে তিনি জানিয়েছেন, ভোট জালিয়াতির সকল কিছু ফাঁস করতে চান। কারা তাকে দিয়ে জালিয়াতি করিয়েছেন তাদের সবার নাম তিনি প্রকাশ করবেন। একটু সময়ের প্রয়োজন বলে জানান।

এদিকে পঞ্চম ধাপের জকিগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের পাতানো ভোট গ্রহণের ফলাফল বাতিল করে সুষ্ঠুভাবে পুণনির্বাচন করতে শনিবার রাতে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জকিগঞ্জের বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মাহতাব হোসেন চৌধুরী। সকল প্রার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অফিসার ছিলেন সাদমান সাকিব। একই সাথে তিনি জকিগঞ্জ সদর, সুলতানপুর ও বারঠাকুরী ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বেও ছিলেন। জকিগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আরিফুল হক বারহাল ও কাজলসার ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। সাদমান সাকিব ও আরিফুল হকের অধীনে এসব ইউপির নির্বাচনে প্রকাশ্যে জালিয়াতি হয়েছে। সরকারী গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সাদমান সাকিব ও আরিফুল হক মানুষের রায় নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। তারা মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিজেদের নির্ধারিত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে কাজ করেছেন। তারা খাবারের প্যাকেটের নামকরে ভোট কেন্দ্রে চুক্তিকৃত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে সিলমারা ব্যালট সরবরাহ করেছেন। তাদের এই অনৈতিক কাজে সহযোগীতা করেছেন প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারগণ। সরকারী বিভিন্ন দফতরের দায়িত্বশীলরা। এর মাধ্যমে জনরায়কে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। জালিয়াতি করে জনগণের মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই অবিলম্বে জকিগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও মেম্বারপদে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচনের দিন পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ৫টি ইউপির প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালেট নিয়ে যান শাদমান সাকীব ও আরিফুল হক। সিলমারা ব্যালটগুলো প্রিসাইডিং অফিসারের সাহায্যে ব্যালট বাক্সে ডুকান। বেলা তিনটা পর্যন্ত ৫ ইউপিতে রক্ষক বেশে ভক্ষক হয়ে অবৈধভাবে সিলমারা ব্যালট ডুকিয়ে জনগণের রায়কে পাল্টে দিয়েছেন। তারা যখনই গাড়ি নিয়ে যে কেন্দ্রে গেছেন তখন সে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ১০/১৫ মিনিট বন্ধ ছিল। এতো বড়ো অনিয়মের পরও এসব ইউনিয়নগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ইউনিয়নে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এমন ফলাফল বেআইনী, ভিত্তিহীন ও জনগণের প্রদত্ত ভোটের প্রতিফলন নয়। রিটার্নিং অফিসাররা ব্যালট কাস্টিং ও নির্বাচন প্রভাবিত করার অভিযোগে হাতেনাতে আটক হয়ে কারাগারে গেছেন। এ কারণে বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ৫টি ইউনিয়ন পরিষদসহ জকিগঞ্জের ৯টি ইউপির নির্বাচন বাতিল করে পুননির্বাচনের দাবি উপজেলার প্রতিটি মানুষের, প্রত্যেক প্রার্থীর। লিখিত বক্তব্যে প্রার্থীদের অনেকেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে দাবি করেন, এমন ঘটনা নজিরবিহীন। সরকারী কর্মকর্তা কয়েকজন প্রভাবশালী প্রার্থীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিজেদের নির্ধারিত প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করেছেন।

অন্যদিকে, রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মেম্বার প্রার্থীরা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে পুণনির্বাচন চেয়ে আবেদন দাখিল করেছেন। কোন কোন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী পুননির্বাচনের দাবীতে উচ্চ আদালতে রীট মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। প্রার্থীদের দাবী, নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করলে গভীর রাত পর্যন্ত কারা আসা যাওয়া করেছেন তাদের তথ্য পাওয়া যাবে। বারহাল ইউপিতে শনিবার মানবন্ধন হয়েছে। মানববন্ধন থেকে বক্তারা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করতে দাবী জানিয়েছেন।

সুলতানপুর ইউপির মেম্বার প্রার্থী আব্দুস সাত্তারের দাবী, তাঁর ব্রাম্মণগ্রাম ভোট সেন্টারে ব্যালেট পেপার সঙ্কট ছিলো। পরে সাড়ে ১০টার দিকে রির্টানিং কর্মকর্তা শাদমান সাকিব ও আরিফুল হক ভোট কেন্দ্রে একটি ব্যাগ নিয়ে যান। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কক্ষে গোপন বৈঠক করেন। এরপর ভোটগ্রহণের গতী কমিয়ে দেয়া হয়। ভোটাররা লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে বিরক্ত হয়ে ভোট না দিয়ে ফিরে যান। এরপরও ১৬৬৪ ভোট কাস্টিং দেখানো হয়। রির্টানিং কর্মকর্তারা হাতেনাতে ব্যালট ও সীলসহ গ্রেফতারের পরপরই তিনি তার ভোট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করার দাবী জানান। কিন্তু এরপরও ভোটগণণা করে পাতানো ফলাফল দেয়া হয়। তাঁর ব্রাম্মণগ্রাম ভোটকেন্দ্রের ব্যালেট পেপারে নকল সীলও দেখা গেছে। ভোটের পরদিন তিনি ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার রুমের পেছনে দুটি ব্যালেট পেপার কুঁড়িয়েও পেয়েছেন। ব্রাম্মণগ্রাম ভোট কেন্দ্রে তাকে বিজয়ী করতে ৫ লাখ টাকা দাবী করেছিলেন রির্টানিং কর্মকর্তা শাদমান সাকীব। সাত্তার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করার কারণে অন্য প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁর ফলাফল ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তাছাড়াও রির্টানিং কর্মকর্তারা গ্রেফতারের পর পুরো উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাৎক্ষণিক ভোট গ্রহণ স্থগিতের দাবীতে বিক্ষোভ হয়েছে। সুলতানপুর ইউপির ভোটকেন্দ্রে ভোট গণণা শেষে কেন্দ্রে ফলাফল দেয়া হয়নি। রোববার পর্যন্ত কোন মেম্বার প্রার্থীই তাদের ফলাফল পাননি। এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন বলে এ বিষয়ে কোন কথা বলেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর