নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: দেশে করোনায় মৃত ও সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। কিন্তু এখনো পাত্তা দিচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। বেশী মানুষই মাস্ক পরেন না, সামাজিক দূরত্বও মানেন না। এ কারণে জকিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ যৌথভাবে করোনা ঠেকাতে সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাস্ক বিতরণ করেছেন। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারের নির্দেশনা লঙনের দায়ে একটি বাস চালকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক পৃথকভাবে ৪টি মামলা দায়ের করে মোট ৩ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমী আক্তার। সাথে সাথে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয়। পরে তাদেরকেও একটি করে মাস্ক দিয়ে সচেতন থাকতে অনুরোধ করেন।
শনিবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ যৌথভাবে করোনা ঠেকাতে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জকিগঞ্জ বাজারে প্রচারণা করে। এরপর জকিগঞ্জ খেলার মাঠে গিয়ে খেলাওয়াড়দেরকে ও বিভিন্ন হাটবাজারে ক্যাম্পেইন করে লোকজনকে এই ক্লান্তিকালে সচেতন থাকতে অনুরোধ করেন। গণসচেতনামূলক প্রচারণায় অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমী আক্তার, জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম খাঁন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন ডাক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমানসহ প্রশাসনের ও থানা পুলিশ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক পরার ক্ষেত্রে সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ মানুষ তা মানছেন না। রাস্তাঘাট, বিপণিবিতানসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মানুষ মাস্ক না পরে ঘুরছেন। এতে ভাইরাস সংক্রমণে প্রভাব ফেলছে। লোকজনকে নিরাপদ রাখতে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ যৌথভাবে ক্যাম্পেইন করেছে।
তিনি আরো জানান, মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে অনেকেই বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাস নেই’, আবার কেউ কেউ বলেছেন ‘ভুলে মাস্ক বাড়িতে ফেলে চলে এসেছি।’ এমন অজুহাত দেখিয়েও অবশ্য বাঁচতে পারেননি তারা। অনেকজনকে জরিমানা দিতে হয়েছে। আমরা তাদেরকে মাস্কও দিয়েছি। তিনি বলেন, লোকজন দেশের এই পরিস্থিতির কথা মোটেও চিন্তা না করে স্বাভাবিক মত চলাফেরা করছে। করোনা থেকে সবাই বাঁচতে সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করতে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply