নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: জকিগঞ্জের বারহালে খাস খতিয়ানের ভূমিতে নির্মাণাধীন গুচ্ছগ্রামের ভূমির স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন। খিলগ্রামের আজির উদ্দিন গংদের করা এক আপিল মামলার শুনানী শেষে বিচারপতি একেএম শহীদুল হকের আদালত এ আদেশ দেন। শুনানীতে বাদী পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন আইনজীবি হাবিবুর রহমান। মঙ্গলবার হাইকোর্টের এ আদেশের রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে ভূমির আকৃতি, প্রকৃতি সম্পর্কে স্থিতাবস্থা ৬ মাসের জন্য বজায় রাখতে উচ্চ আদালত আদেশ দিয়েছেন।
জানাগেছে, বারহাল ইউনিয়নের খিলোগ্রাম মৌজার বিএস ১নং খতিয়ানের ১ থেকে ৭নং দাগ পর্যন্ত ২ একর ১০ শতক ৭৩ পয়েন্ট জায়গার উপর গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু এ ভূমিকে আজির উদ্দিন গংরা র্দীঘদিন থেকে নিজেদের স্বত্ব দাবী করে আসছেন।
কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন তাদের স্বত্ব দাবীর বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের কাজ শুরু করে। এ নিয়ে আজির উদ্দিন গংরা সহকারী জজ জকিগঞ্জ আদালতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে পক্ষভূক্ত করে মামলা দায়ের করে গুচ্ছগ্রাম না নির্মাণ করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রার্থনা করেন। আদালতে তা নামঞ্জুর হয়। পরে সিলেটের জেলা জজ আদালতে আপিল করলে তাও খারিজ হয়ে যায়। এ নিয়ে বাদী গংরা হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম শহীদুল হকের বেঞ্চে কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে ৫৮৪/২১ নাম্বারের একটি আপিল মামলা করেন। আপিলের শুনানী শেষে আদালত খিলোগ্রাম মৌজার বিএস ১নং খতিয়ানের ১ থেকে ৭নং দাগ পর্যন্ত ভূমির আকৃতি, প্রকৃতি সম্পর্কে স্থিতাবস্থা ৬ মাসের জন্য বজায় রাখার আদেশ দেন।
এদিকে, উচ্চ আদালতের আদেশ কপি পেয়ে আজির উদ্দিন এক দরখাস্তের মাধ্যমে আদালতের আদেশ কপি সংযুক্ত করে বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তারকে অবহিত করেছেন।
আদেশের একটি কপি সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।
Leave a Reply