জকিগঞ্জে নানা অভিযোগে তোপের মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজে অস্বচ্ছতা, কাজের ধীরগতি, নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া, বর্ষা মৌসুম আসলে তড়িগড়ি করে যেনতেন ভাবে বেঁড়ী বাঁধের কাজ করাসহ নানা কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আইন শৃংখলা কমিটির বেশীরভাগ সদস্য। আইন শৃঙ্খলা সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুপস্থিতি, জকিগঞ্জে অফিস ও বিভাগের কর্মকর্তা থাকা স্বত্বেও অফিস না করাসহ নানা কারণে তোপের মুখে পড়েন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা।

জনপ্রতিনিধিসহ আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য বলেন, জকিগঞ্জে ৪টি স্থানে নদী ভাঙ্গনে ভাঙ্গন রোধে বøকের কাজ চলমান হলেও কাজে তেমন কোন অগ্রগতি নাই। কাজের মেয়াদ শেষের পথে হলেও এসব স্থানে কাজের অর্ধেকও সম্পন্ন হয়নি। তাছাড়া কাজের স্থলে কাজের বিবরণ উপস্থাপন না করে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণকে অন্ধকারে রেখে লোকচুরি করা হয়। ফলে যেনতেনভাবে কাজ করায় কোটি কোটি টাকা পানিতেই চলে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের স্বচ্ছতা আনয়নে প্রতিটি কাজের স্থলে কাজের বিবরণ উপস্থাপনের দাবী জানান তারা।

জনপ্রতিনিধিরা জানান, সীমান্ত নদী সুরমা কুশিয়ারার সাথে ভারতের সীমানা থাকায় মানচিত্র রক্ষায় এ দুটি নদীর ভাঙ্গন রোধ অতিব জরুরী কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন করেনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান ভূইয়া জানান, জকিগঞ্জের সীমান্তনদীর ৬৩ কিলোমিটারের পুরোটাই সুরক্ষার জন্য বøক ফেলে ভাঙ্গন রোধ করার প্রক্রিয়া চলমান আছে। বøকের কাজ বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বাদ দিয়ে পুনঃটেন্ডারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ থানার ওসি আবুল কাশেম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা রওশন শ্যামলী, ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ, আব্দুস সালাম চৌধুরী, জুলকারনাইন লস্কর, মাহতাব আহমদ চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ, মুফতি আবুল হাসান, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত পাল প্রমূখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর