আল হাছিব তাপাদার, জকিগঞ্জ টুডে:: সন্দেহভাজন করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে এখনো পাওয়া যায়নি সন্দেহজনক করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোন কাউকে। প্রবাস ফেরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। বুধবার ৪১ জন প্রবাসী হাসপাতালে এসে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডা. আব্দুল্লাহ আল মেহেদী।
জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন স্টেশনে করোনা আতংক থাকলেও যাত্রী পারাপারে প্রভাব পড়েনি। বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের সনাক্ত করতে মেডিকেল ক্যাম্পে কাজ করছেন মেডিকেল অফিসার ড. ফাতেমাতুজ জোহরা ও প্রদীপ টুডু।
ডা. ফাতেজাতুজ জোহরা বলেন, তারা সদা সর্তক রয়েছেন। কোন যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করলেই তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। তবে এ যাবৎ সন্দেহজনক কোন রোগী পাওয়া যায়নি। তিনি জানান করোনা, ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন স্টেশনের ইনচার্জ রুনু মিয়া বলেন, এ স্টেশন দিয়ে ভ্রমনকারীদের যাতায়াতে কোন প্রভাব পড়েনি। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী যাতায়াত করছে। যারাই যাতায়াত করে তারা নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের দেখতে যায় এবং মুলত ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক ভ্যালীতে সীমাবদ্ধ। ভারত ফেরত যাত্রী সুন্দর আলী জানান, ওপারে করোনা আতংক থাকলেও আক্রান্ত কোন রোগী আছে বলে তিনি শুনতে পাননি।
এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। স্থানীয় জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি, হাসপাতালের একটি ইউনিট সদা প্রস্তুত রাখা হয়েছে, এছাড়া প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থার জন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে ব্যক্তিদের নিজস্ব বাসস্থানে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা, গুজব ছড়ানো, বিভ্রান্তি দুর করতে সক্রিয় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডা. আব্দুল্লাহ আল মেহেদী জানান, কোয়ারান্টাইন সেন্টারে দুটি রুমে আলাদা আলাদা ৪টি বেড রয়েছে। আরো বাড়ানো হবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কোন কাউকে পাওয়া যায়নি।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন কুমার সিংহ জানিয়েছেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হবে। কেউ প্রবাস থেকে দেশে ফিরলে দ্রুত খবর জানাতে সকল ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে। ১৬ মার্চ আবারো সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরকে নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে।
Leave a Reply