জকিগঞ্জে তিনটি গ্রামের চলাচলের রাস্তা কেটে ফেলার অভিযোগ

জকিগঞ্জে তিনটি গ্রামের চলাচলের রাস্তা কেটে ফেলার অভিযোগ

জকিগঞ্জে তিনটি গ্রামের চলাচলের রাস্তা কেটে ফেলার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: সিলেটের জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউপির তিনটি গ্রামের চলাচলের রাস্তার কিছু অংশ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে সুলতানপুর গ্রামের ফয়সল আহমদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে চারজনকে আসামি করে জকিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন সুলতানপুর গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর ছেলে হাজী আব্দুল বাছিত। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহেদ হোসেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত শুক্রবার সুলতানপুর গ্রামের ফয়ছল আহমদ তার মালিকানাধীন জায়গার সামনে রাস্তার মাটি কেটে নিজের জমিতে রাস্তার মাটি ফেলে রাস্তায় বড় গর্ত করে চলাচলের অনুপযোগী ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। ওই রাস্তা দিয়ে ইছাপুর, সুলতানপুর ও লালোগ্রামের লোকজনসহ স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চলাচল করেন। রাস্তাটি নিচু হওয়ার কারণে ইউপি চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময় রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মাটিদ্বারা উন্নয়ন করে দিয়েছেন। কিন্তু এখন রাস্তাটি কেটে গর্ত করার কারণে চলাচলে অনুপযোগী হয়েছে। রাস্তা কাটার সময় বাধা নিষেধ করায় আব্দুল বাসিতসহ গ্রামের লোকজনকে মারধর করার চেষ্ঠা করা হয় বলে অভিযোগে দাবী করা হয়।

এ নিয়ে ফয়সল আহমদ জানান, তার জায়গার ওপর দিয়ে লোকজন চলাচল করেন। মূলত এদিকে কোন রাস্তা নেই। তারপরও লোকজনের সুবিধার জন্য তিনি তার জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তা দিয়েছেন। এখন রাস্তা বেশি বড় হওয়ার কারণে তিনি রাস্তার জন্য ৬ হাত জায়গা রেখে বাকি জায়গা খেতের জমিতে মিলিত করেছেন। রাস্তার জন্য জায়গা রাখার পরও তাকে হয়রানী করতে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

সুলতানপুর ইউপির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে রাস্তাটি ২০১৮ সালে মাটি দিয়ে উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু একটি পক্ষ রাস্তার কিছু অংশ কেটে ফেলেছেন এটা দুঃখজনক। গ্রামের লোকজন বিষয়টি তাঁকে জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। তবে স্থানীয়ভাবে আপসের চেষ্ঠা করা হচ্ছে।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহেদ হোসেন জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তার জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তা অন্য গ্রামে গিয়েছে। চলাচলের রাস্তা রেখে জায়গার মালিক কিছু অংশের রাস্তা কেটে ফেলেছেন। তবে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি আপসের জন্য ইউপি সদস্য সময় নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর