জকিগঞ্জে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাওহীদি জনতার মিছিল ও সমাবেশ

জকিগঞ্জে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাওহীদি জনতার মিছিল ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ও ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, বোমা হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জকিগঞ্জে তাওহীদি জনতা।

রোববার আসরের নামাজের পর জকিগঞ্জ এমএ হক চত্ত¡রে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে আবারও এমএ হক চত্ত¡রে সমাবেশে মিলিত হন। সমাবেশে মাইজকান্দি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুস সবুরের সভাপতিত্বে ও পাঁচগ্রাম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জয়নুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য সোনাসার জালালিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মুন্সিবাজার মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মাহমুদ হোসাইন, বারঠাকুরী শিতালঙ্গীয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুস সালাম, বড়পাথর মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব মাওলানা আব্দুল গণি, ভরন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মালিক, চারিগ্রাম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মুকিত, মাওলানা আব্দুল খালিক, মাওলানা শায়েখ মোস্তফা আহমদ, মাওলানা কেএম মামুন, সাংবাদিক আল হাছিব তাপাদার, হাফিজ মাওলানা আলী আফসার জিহাদি, মাওলানা ছাদিকুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামিদ জালাল, মাওলানা ফয়জুল হাসান, মাওলানা হানিফ আহমদ, মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, মাওলানা ফয়জুর রহমান, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা সারা বিশ্বের মুসলমানদেরকে ফিলিস্তিনের পাশে থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকার সেনা পাঠানোর মাধ্যমে ফিলিস্তিনের মজলুম মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। বছরের পর বছর ধরে নিজ দেশে পরবাসী জীবন পার করা ফিলিস্তিনরা জেগে উঠতে শুরু করেছে। তারা মাতৃভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠায় সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত। বাংলাদেশী হিসেবে ফিলিস্থিনের প্রতি সমর্থন জানানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
১৯৪৮ সালে জোরপূর্বক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মধ্যে ইসরায়েল নামে আরেক রাষ্ট্রের জন্ম দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক ইহুদিবাদের আগ্রাসন নীতি অনুযায়ী ইসরায়েল সেখানে দখলদারিত্ব চালাচ্ছে। বছরের পর বছর সন্ত্রাসবাদের শিকার সাধারণ ফিলিস্তিনরা। সমাবেশ থেকে বিশ্ববাসীর কাছে দাবি, যুগ যুগ ধরে শোষণ-বঞ্চনার শিকার ফিলিস্তিন জনগণের পাশে দাঁড়াক এবং ইসরায়েলের সন্ত্রাসবাদ কর্মকাÐের লাগাম টেনে ধরুক। ফিলিস্তিনে যে নৃশংসতা চলছে তা দ্রæত বন্ধ না হলে বিশ্ব এক মানবিক বিপর্যয়ের সাক্ষী হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর