বক্তব্য দিচ্ছেন সামিনা নাজ

ভিয়েতনামে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতি উদ্‌যাপন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেসকোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টারে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ ভিয়েতনামে উদ্‌যাপন করা হয়েছে। এই অর্জনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ দূতাবাস গতকাল (৫ ডিসেম্বর) রাজধানী হ্যানয়ে এক বিশেষ কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনে ছিল হ্যানয়ের চ্যান্সারি ভবনে আলোচনা সভা, ৭ মার্চের ভাষণের ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং ভাষণের ব্যাপক পরিচিতি ও প্রসারের লক্ষ্যে তা আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে বিতরণ (বাংলা ও ইংরেজি ভাষায়)

আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিশিষ্ট আইনবিদ ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট নিলোফার ভাগোয়াত। ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, ভিয়েতনামের বিশিষ্ট ব্যক্তি বিশেষ করে ভিয়েতনামের নবীন প্রজন্মের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
নিলোফার ভাগোয়াত

অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরে এক প্রাণবন্ত আলোচনার প্রারম্ভ করা হয়। আলোচনার শুরুতে ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার যে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিল তারই ফলস্বরূপ আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু এবং বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে অভ্যুদয় হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ-স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা। ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেসকো শুধু বঙ্গবন্ধুকেই সম্মান জানায়নি বরং পুরো বাঙালি জাতিকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ও প্রেরণা দানকারী ভাষণ নতুন প্রজন্মের জন্য এক মাইলফলক হিসেবে সর্বদাই বিরাজমান এবং জাতিসংঘ ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি আমাদের জন্য এক বিরল সম্মান।
উপস্থিতির একাংশ

নিলোফার ভাগোয়াত তাঁর বক্তব্যে ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও এর বিশেষ অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের জন্য গৌরব নয় বরং ইউনেসকোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তা সকল বিশ্ববাসীর কাছে এক প্রাজ্বল্যমান দলিল হিসেবে সর্বদা সংরক্ষিত থাকবে। এ ভাষণ সকল স্বাধীনতাকামী জাতির জন্য এক প্রামাণ্য দলিল।
এরপর বঙ্গবন্ধুর ভাষণটির প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও ভাষণের বাংলা ও ইংরেজি কপি বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর