আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিশিষ্ট আইনবিদ ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট নিলোফার ভাগোয়াত। ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, ভিয়েতনামের বিশিষ্ট ব্যক্তি বিশেষ করে ভিয়েতনামের নবীন প্রজন্মের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরে এক প্রাণবন্ত আলোচনার প্রারম্ভ করা হয়। আলোচনার শুরুতে ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার যে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিল তারই ফলস্বরূপ আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু এবং বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে অভ্যুদয় হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ-স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা। ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেসকো শুধু বঙ্গবন্ধুকেই সম্মান জানায়নি বরং পুরো বাঙালি জাতিকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ও প্রেরণা দানকারী ভাষণ নতুন প্রজন্মের জন্য এক মাইলফলক হিসেবে সর্বদাই বিরাজমান এবং জাতিসংঘ ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি আমাদের জন্য এক বিরল সম্মান।
নিলোফার ভাগোয়াত তাঁর বক্তব্যে ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও এর বিশেষ অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের জন্য গৌরব নয় বরং ইউনেসকোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তা সকল বিশ্ববাসীর কাছে এক প্রাজ্বল্যমান দলিল হিসেবে সর্বদা সংরক্ষিত থাকবে। এ ভাষণ সকল স্বাধীনতাকামী জাতির জন্য এক প্রামাণ্য দলিল।
এরপর বঙ্গবন্ধুর ভাষণটির প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও ভাষণের বাংলা ও ইংরেজি কপি বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply