নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: সিলেটের জকিগঞ্জে পুলিশের কথিত সোর্স জামাল আহমদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পুলিশের ভয় দেখিয়ে মাদক থেকে টাকা গ্রহণ, চাঁদা না পেলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায়, অযথা পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরগ্রহণের মত নানা অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সিলেটের ডিআইজি বরাবরে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন জকিগঞ্জ ইউপির শিমেরবন্দ গ্রামের মৃত রইছ আলীর ছেলে হেলাল আহমদ ও বারঠাকুরী ইউপির কস্তইল গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে ছালেহ আহমদ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জামালের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন। সোমবার বারঠাকুরী ইউপির চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপু, ওয়ার্ড সদস্য ফখন আহমদ, সুলতানপুর ইউপি সদস্য মনির আহমদ, জকিগঞ্জ ইউপির সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মুজিব, ওয়ার্ড সদস্য আজির উদ্দিন লুকন, নাসিমা বেগম, খয়রুন নেসা, নাজিম উদ্দিন নাজু, জিয়াউর রহমান, রাবিয়া বেগম, বারঠাকুরী শামিম আহমদ, আব্দুল আলিমের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন। এ সময় জামালের দ্রæত বিচার দাবী করে বিপুল সংখ্যাক লোকজন সার্কেল অফিসে উপস্থিত হন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সময়ে গঙ্গাজল এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে কথিত সোর্স জামাল আহমদের নানা অপকর্ম উল্লেখ করে সিলেটেপর ডিআইজির কাছে দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন দুই সুবিচারপ্রার্থী। অভিযোগে তাদের দাবী, পুলিশের কথিত সোর্স জামালের মিথ্যা মামলা, অত্যাচারে ও চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠি হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নানা অপকর্ম করে ঘুরে বেড়ালেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। সে নিজেকে র্যাব, পুলিশ ও ডিবি পুলিশের সোর্স দাবী করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভেঙে মাদক ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজী করে থাকে। চাহিদামত চাঁদার টাকা না পেলে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো, পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে নির্যাতন করাসহ নানাভাবে হয়রানী করে। ইতিমধ্যে জামালের কারণে অনেক লোকজন মিথ্যা মামলায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তার অত্যাচারে ও চাঁদাবাজীতে এলাকার লোকজন তটস্থ। পুলিশের সোর্স দাবীদার জামালের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছেন।
জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন এ প্রসঙ্গে জানান, জামালের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছি। পর্যায়ক্রম আরও স্বাক্ষীর সাথে কথা বলবো। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
Leave a Reply