জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: ১০ জানুয়ারী বুধবার বিকেলে বাড়ী থেকে খেলতে যায় জকিগঞ্জ পৌর এলাকার গন্ধদত্ত গ্রামের শিশু সালমান (১১)। বিকেল শেষে সন্ধ্যা হলেও বাড়ী ফিরেনি। পরিবারের লোকজন শুরু করেন চারিদিকে সালমানের সন্ধান। কিন্তু কোথাও শিশু সালমানকে পাননি। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে হঠাৎ স্থানীয়রা গন্ধদত্ত গ্রামের টেলিফোন একচেঞ্জ অফিসের একটি ডোবায় দেখতে পান শিশু সালমানের লাশ। খবর দেয়া হয় জকিগঞ্জ থানা পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল তৈরী শেষে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতাল মর্গে লাশ প্রেরণ করে এবং সাংবাদিকদের জানায় এটা হত্যাকান্ড হতে পারে।
এরপর গুপ্ত হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ শুরু করে তৎপরতা। বিভিন্ন গোপনীয় কৌশল অবলম্বন করা হয় রহস্য বের করতে। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে গুপ্ত এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন জকিগঞ্জ থানার এসআই সৈয়দ ইমরুজ তারেক। তিনি হত্যাকান্ডটি নিয়ে র্দীঘ অনুসন্ধান শেষে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একদল পুলিশ নিয়ে গন্ধদত্ত গ্রামের আবুল কালাম আহমদের বাড়ীতে হাজির হন। গ্রেপ্তার করেন তার ১৫ বছর বয়সী ছেলে ইমন আহমদকে। এরপর হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন শুরু হয়। বেরিয়ে আসে শিশু সালমান হত্যার মূল রহস্য।
জকিগঞ্জ থানার এসআই সৈয়দ ইমরোজ তারেক জকিগঞ্জ টুডে-কে জানান, গুপ্তহত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পেরে খুবই শান্তি পেয়েছি। কিশোর ইমনকে আটকের পর সে শিশু সালমান হত্যার বর্ণনা দিয়ে বলেছে, গত ১০ জানুয়ারী বিকেলে খেলাধুলার মাঝে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সে সালমানকে ধাওয়া করে গন্ধদত্ত গ্রামের টেলিফোন একচেঞ্জে নিয়ে যায়। সেখানে ইট দিয়ে আঘাত করার পর তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এর একপর্যায়ে সে (ইমন) একাই সালমানকে পায়ে ধরে টেনে নিয়ে একচেঞ্জ অফিসের একটি ডুবায় ফেলে দিয়ে চলে যায়।
Leave a Reply