রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে হত্যাযজ্ঞের মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় পড়া রোববারের (২৬ নভেম্বর) মতো শেষ হয়েছে। ফের শুরু হবে সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে।
রোববার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিট থেকে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) হাইকোর্ট বেঞ্চ আলোচিত হত্যা মামলাটির রায় পড়া শুরু করেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
বিকেল ৪টায় রোববারের মতো রায় পড়া শেষ করার পর বিচারপতি মো. শওকত হোসেন বলেন, আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালকুদার তার কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন। এরপরই মূল রায় ঘোষণা করা হবে।
গত ১২ নভেম্বর থেকে হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ২৬ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য রাখা হয় আপিল মামলাটি।
প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানি ও যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষে গত ১৩ এপ্রিল মামলাটির রায় ঘোষণা অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন হাইকোর্ট।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদরদফতরে ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামানের অস্থায়ী আদালত।
পাশাপাশি অস্ত্র লুটের দায়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ডও দেওয়া হয় তাদের।
জীবিত ৮৪৬ জন আসামির মধ্যে আরও ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে তিন থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়। মামলার মোট ৮৫০ জন আসামির বাকি ৪ জন বিচার চলাকালেই মারা গেছেন।
ওই ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচার চলছে বিচারিক আদালতে।
হত্যা মামলার রায়ের বিরুদ্ধে খালাসপ্রাপ্ত ২৭৭।
সূত্র: বাংলা নিউজ।
Leave a Reply