জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: সিলেট-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সিলেট জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মামুনুর রশীদ (চাকুস মামুন) বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশ ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নির্বাচন। জকিগঞ্জ-কানাইঘাটে এবার ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ায় নেতাকর্মী, সমর্থক সাধারণ মানুষ উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। আমাদের বিজয় নিশ্চিত। আমি নির্বাচিত হলে নদী ভাঙন, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখবো। শুক্রবার সন্ধ্যায় জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই। এরপরও ৩০ ডিসেম্বর ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ভোট বিপ্লব হবে। কোনো ষড়যন্ত্র আমাদের বিজয়কে আটকিয়ে রাখতে পারবে না। দেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমতায় পাঠাবে।
সিলেট-৫ আসন জামায়াতকে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি এতে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জামায়াত নেতা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সিলেট-৫ আসনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে জামায়াত নেতা ফরিদ উদ্দিনকে সাধারণ মানুষ মেনে নিবেনা। জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের কোথাও জামায়াতের অস্তিত্ব নেই। ভোটারের কাছে তাদের জনপ্রিয়তা শুন্যর কোটায়। আমার বিশ্বাস বিএনপির হাই কমান্ড কখনো জামায়াতের হাতে ধানের শীষ তুলে দেবেনা। বিএনপির যেকোন নেতার হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেয়া হলে বিজয় নিশ্চিত নতুবা সম্ভব নয়। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াতের নেতাকে মেনে নিবেনা। জামায়াত নেতা যদি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন তাহলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন। সিলেট-৫ আসনের মানুষ জামায়াতকে ভোট দেবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের কর্মকান্ড নিয়ে বির্তকিত জামায়াত নেতার হাতে ধানের শীষ তুলে দেয়া হলে আমাদের বিএনপির প্রতীকটাও ভোটারের কাছে বির্তকিত হবে। আশা করি বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এ বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন।
তৃণমূলের মতামতকে মূল্যায়ন করবেন। যদিও জামায়াত নেতা অতীতের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন কিন্তু অতীতের প্রেক্ষাপটে আর এখনকার নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এবারের নির্বাচনে জামায়াত নেতার হাতে ধানের শীষ তুলে দেয়া হলে আসনটি হারাতে পারে বিএনপি।
মতবিনিময় সভায় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অধ্যাপক বদরুল হক বাদল, জাহাঙ্গীর শাহ চৌধুরী হেলাল, জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শাকুর, জেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক দিদার ইবনে তাহের লস্কর, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন সেলিম, কানাইঘাট বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল ইসলাম লেইছ, মনজুর আলম, দিদার হোসেন শামীম, নাসির উদ্দিন সাদিক, সালাহ উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল হাসান, আব্দুস সালাম, আব্দুল বাছিত, ফজলে আশরাফ মান্না, রুহেল আহমদ ও মাজেদ আহমদ প্রমূখ।
Leave a Reply