জকিগঞ্জ টাউন ঈদগাহে বসেছে কোরবানির পশুর হাট! জমে উঠেছে বেচাকেনা

আল হাছিব তাপাদার, জকিগঞ্জ টুডে:: পবিত্র কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিলেটের জকিগঞ্জে টাউন ঈদগাহে বসেছে পশুর হাট। পবিত্র ঈদগাহে পশুর হাট বসানোয় অনেকের মনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।

তবে ইজারাদার শিহাব আহমদ ঈদগাহে পশুর হাট বসানোর প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, শাহী ঈদগাহটি নামাজের জন্য ব্যবহারের উপযোগী নয়। বাজারে বিক্রেতারা বেশী সংখ্যাক গরু ছাগল নিয়ে আসার কারণে জায়গার সঙ্কট রয়েছে। এ কারণে কিছু বিক্রেতা সেখানে পশু বেঁধেছেন। তবে হাট শেষ হবার পর ঈদগাহে পরিষ্কার করে দেবেন। বাকি দিনগুলোতে ঈদগাহে কেউ পশু রাখতে পারবেনা সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এদিকে শেষ সময়ে জকিগঞ্জ শহরের পশুর হাটে কেনাবেচা জমে উঠেছে। প্রতিদিন হাজারো দেশীয় গরু-ছাগল নিয়ে বিক্রেতারা আসছেন হাটে। বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর পশু মোটাতাজা করায় অধিক খরচ হলেও গত বছরের চেয়ে কম দাম চাওয়া হচ্ছে পশুর। এরপরও ক্রেতারা দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা চড়া দাম হাঁকিয়ে বসে রয়েছেন। তাই সামর্থ অনুযায়ী গরু-ছাগল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

জকিগঞ্জের পশুর হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি পশুর হাটে বিপুল পরিমাণ গরু-ছাগল বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। তবে হাটে বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে স্বাস্থ্যবিধি অনেকটা উপেক্ষিত ছিলো। বিক্রেতা মো. আমির হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর দেশীয় পদ্ধতিতে আমরা গরু ও ছাগল মোটাতাজা করতে অনেক টাকা খরচ করেছি। তাই কোরবানির হাটে পশুগুলোর দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি গরুর দাম দেড় লাখ চাই তাহলে ক্রেতারা তার দাম বলেন ৮০-৯০ হাজার, আর যদি এক লাখ টাকা চাই তাহলে ক্রেতারা বলেন ৬০-৭০ হাজার। কোনো কোনো ক্রেতা দাম বেশি দিয়ে কিনে নেন। আবার কিছু ক্রেতা দাম শুনে চলে যান। এ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তবে এবার পশুর দাম অনেকটা কম বলে দাবী তাদের।

জকিগঞ্জে টাউন ঈদগাহে পশুর হাট বসানো প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল আহাদ বলেন, যেহেতু জায়গার সংকট তাই অনেকে না বুঝেই পরিত্যক্ত ঈদগাহে পশু বেঁধে রেখেছেন। সোমবার থেকে ঈদগাহে যাতে কেউ পশু না রাখে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর