ভুয়া খবর ছড়ানো বন্ধে ফেসবুকের নতুন উদ্যোগ

২০১৬ সালে আমেরিকার নির্বাচনের সময় ভুয়া খবর ছড়ানোর জন্য সমালোচিত হয়েছিল ফেসবুক। এরপর ২০১৭ সালে পুরোটা সময় বিতর্ক থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সামাজিক মাধ্যমটি। সেই ধারাবাহিকতায় মানুষের কাছে ভুয়া খবরের পরিবর্তে যাচাই করা খবর পৌঁছে দিতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ফেসবুক।

এ বছর মার্চ মাসে ভুয়া খবরের লিঙ্কগুলোকে ‘ডিস্পিউটেড বা বিতর্কিত’ বলে চিহ্নিত করে দেয়া শুরু করে। কিন্তু সেটি বিশেষ কার্যকরী না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি এভাবে বিতর্কিত খবর চিহ্নিত করা বন্ধ করে দিচ্ছে।

এখন থেকে লাল ফ্ল্যাগ দিয়ে চিহ্নিত করার পরিবর্তে নতুন পদ্ধতিতে ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে লড়াই করবে ফেসবুক। কোনো বিষয়ে একটি ভুয়া খবর কেউ প্রকাশ করলে ওই বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার খবর নিউজ ফিডে উপরের দিকে রাখবে সামাজিক মাধ্যমটি।

একই সাথে, কোনো বিষয়ে কেউ মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করলে তাদের লিঙ্কের সাথে সাথে ওই বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত সাইটগুলোর খবরের লিঙ্ক দেখাবে ফেসবুক। যেসব সাইট ওই বিতর্কিত খবরকে নাকচ করে দিয়ে সংবাদ দিয়েছে তাদের সবগুলো লিঙ্ক দেখাবে সামাজিক মাধ্যমটি।

 

বৃহস্পতিবার একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ফেসবুক জানায়, কোনো খবরকে বিতর্কিত হিসেবে লাল ফ্ল্যাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হলে পাঠক সেটিকে সন্দেহ করার পরিবর্তে সেটিকে আরও ভাল করে মনে রাখে। এর জন্য চারটি কারণ চিহ্নিত করেছে সামাজিক মাধ্যমটি।

একটি কারণ হচ্ছে, কোনো খবরকে বিতর্কিত হিসেবে চিহ্নিত করা হলে ফেসবুক ইউজাররা স্ক্রল করার সময় চট করে বুঝতে পারেন না। সেটিকে আরও গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

ভুয়া খবর নিউজ ফিডের একেবারে নিচে পাঠিয়ে দিলে সেগুলোর পাঠকের সংখ্যা ৮০% কমে যায় বলে জানিয়েছে ফেসবুক। রাশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় ট্রল বা ভুয়া খবর ছড়ানোর বিভিন্ন ফার্ম বেশ ভাল ব্যবসা করছে। তাদের ছড়ানো খবরগুলোর পাঠক এভাবে কমিয়ে দিলে ওই সব কোম্পানির ব্যবসা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আসা করছে ফেসবুক।

 

আমেরিকার গত নির্বাচনের পর থেকে ভুয়া খবর ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে গুগল, টুইটার ও ফেসবুক। ওইসব শক্তিশালী টেক ফার্মগুলো মিথ্যে সংবাদ ছড়ানো বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে সমালোচনা করে আসছে বিভিন্ন মহল।

আমেরিকার কংগ্রেসে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হলে তিনটি প্রতিষ্ঠানকেই ডাকা হয় নির্বাচনের সময় তারা কী ভুমিকা পালন করেছিল সে বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর