জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: জকিগঞ্জে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি করে যাচ্ছেন জকিগঞ্জ খাদ্য গোদামের ওসি এলএসডি বকুল কুমার বৈদ্য। সরকারি দামে ধান ক্রয়ে প্রতি কেজিতে অগ্রিম ৩টাকা কমিশন নিয়ে ধান ক্রয় করছেন। এ নিয়ে খলাছড়া ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মনোজয় রায় নামের এক ভূক্তভোগী কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে সোমবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের সাথে ভিন্নমত পোষন করেছেন জকিগঞ্জ খাদ্য গোদামের ওসিএলএসডি বকুল কুমার বৈদ্য।
তিনি সংবাদটির সাথে ভিন্নমত প্রকাশ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী মনোজয় রায় তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন যে, আমি ৩ টাকা কমিশন দাবী করে ৩৭ মন ধানের দাম আটকে দিয়েছি অভিযোগটি সঠিক নয়। প্রকৃত পক্ষে জকিগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে খাদ্য গোদাম ১৫৭ টন ধান ক্রয় করতে নির্দেশনা রয়েছে। এ নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনিয়ন ভিত্তিক হিসেবে খলাছড়া ইউনিয়নের প্রায় ৬০ জন কৃষকদের কাছ থেকে ১৮ টন ধান সংগ্রহ করা হবে। অনেকে নির্ধারিত কোটার চাইতে বেশী ধান বিক্রি করতে চাইছিলেন। বাধ্যবাধকতার কারণে আমি ধান ক্রয় করতে পারিনি। এ কারণে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠেছে। অভিযোগকারী মনোজয় রায়ও নির্ধারিত কোটার চাইতে বেশী ধান বিক্রি করতে চাইছিলেন। তিনি সম্প্রতি সময়ে ৮৫ মন ধান নিয়ে খাদ্য গোদামে আসেন। আমি ৩৭ মন ধান মেপে ক্রয় করে বাকি ধানগুলো কিনতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তিনি রাগ করে বাকি ধানগুলো কিনতে চাপ প্রয়োগ করেন এবং বিল না নিয়ে চলে যান। এ ঘটনা থেকেই তিনি আমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরবর্তিতে সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগের কপি প্রেরণ করেন। যা অত্যন্ত দুঃখজন হিসেবে উল্লেখ করেন ওসিএলএসডি বকুল কুমার বৈদ্য।
অন্যদিকে কয়েকজন কৃষকও এ খবরের সাথে ভিন্নমত পোষন করে বলেছেন, ধান বিক্রি করতে না পেরে হয়তো অনেক ব্যবসায়ী ক্ষেপে গেছেন। ওসিএলএসডিকে চাপে ফেলে নিজেদের স্বার্থ আদায় করতে এমন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে তাদের দাবী।
Leave a Reply