জকিগঞ্জ টুডে ডেস্ক:: জকিগঞ্জে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলা। রবিবার মধ্যে রাতে হঠাৎ করে জকিগঞ্জে আঘাত করে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। এ ঝড়ে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্টান, মসজিদের চালা ও গাছপালা ভেঙে উপড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ করেছে লোকজনকে।
ভেঙ্গে পড়েছে সুলতানপুর ইউনিয়নের সিরাজপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুন নুরের বসতঘরসহ বেশ কয়েকজন হতদরিদ্রের আধাকাঁচা ঘর। কেছরী পশ্চিম জামে মসজিদসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মসজিদগুলোও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে মুসল্লিদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন দ্রুত সরকারী সহযোগীতা কামনা করেছেন।
বৈদ্যুতিক লাইনেও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। পুরো উপজেলায় প্রায় শতাধিক বৈদ্যুতিক খূঁটি ভেঙ্গে গেছে বলে জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানাগেছে ৩৩ কেভি লাইনের ১ টি খুঁটি, ১১ কেভিএ লাইনের ৫৫ টি খুটি ভেঙ্গে গেছে এবং ২শ/২৫০টি স্থানে বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছে। বৈদ্যুতিক লাইনের ত্রুটি নিরসনে জোনাল অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। পুরো জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের লাইন চালু করতে বেশ খানিকটা সময় বিলম্ব হতে পারে। বিদ্যুৎ লাইনের কাজ দ্রুত শেষ করতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনকে সহযোগিতা করতে ডিজিএম এলাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
খবর নিয়ে জানাগেছে, প্রাথমিকভাবে পুরো উপজেলায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে হাট-বাজার ও বসতবাড়ির টিনের চালা, স্কুলের শ্রেণীকক্ষের চালা প্রবল বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যায় এবং গাছ পালা উপড়ে ভেঙ্গে পড়ে যায়। মৌসুমী ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় জনজীবনে মারাত্মক দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। মসজিদে নেই অযুর পানি। ব্যবহার করা যাচ্ছেনা মাইক। অনেক অসহায় লোকজনের বসতঘরের চালা না থাকায় পবিত্র রমজানের ইফতার ও সেহরীর সময় বৃষ্টির পানিতে কষ্ট পোহাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন কুমার সিংহ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর সরকারিভাবে সহযোগীতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে।
Leave a Reply