আল হাছিব তাপাদার:: সিলেট-৫ সংসদীয় আসন জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪ বার আওয়ামীলীগ প্রার্থী বিপুল ভোটে নির্বাচিত হলেও আওয়ামীলীগ সরকারের মন্ত্রীসভায় স্থান পাননি সীমান্তঞ্চলের কোন সংসদ সদস্য। প্রতিবার আওয়ামীলীগ সরকার মন্ত্রীসভা গঠন করার সময় সীমান্তের লোকজন আশায় বুক বাঁধে এবার বুঝি সিলেট-৫ আসন থেকে মন্ত্রী হবেন। কিন্তু প্রতিবারই নিরাশ হতে হয়। এ নিয়ে হতাশার শেষ নেই দুই উপজেলার সর্বস্তরের জনগনের।
১৯৮৪-৮৫ সালে এরশাদ সরকারের মন্ত্রীসভায় ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কারমন্ত্রী হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন জকিগঞ্জের এম এ হক। এরপর কোন সরকারের মন্ত্রীসভায় জকিগঞ্জের কেউ ছিলেন না।
সদস্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ আসন থেকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজ আহমদ মজুমদার নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ায় সীমান্তঞ্চলের লোকজন মন্ত্রীর স্বাদ পেতে আবারো স্বপ্নে বিভোর। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ড. হাফিজ আহমদ মজুমদার এর আগে ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে শিক্ষা, চিকিৎসা ও সমাজসেবা খাতে তাঁর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তাঁর নির্বাচনী আসনসহ বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ইতিপূর্বে “সীমান্তের মশাল” খেতাব পেয়েছেন। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিছেন সীমান্তের আনাচে কানাচে।
সীমান্তবাসী মনে করেন, ড. হাফিজ আহমদ মজুমদার মন্ত্রী হলে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল এগিয়ে যাবে। পিছিয়ে পড়া জকিগঞ্জ-কানাইঘাটে উন্নয়নের জোয়ার বইবে। সেই সাথে জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপজেলাবাসীর দীঘদিনে লালিত স্বপ্ন পুরণ হবে।
সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন, ড. হাফিজ আহমদ মজুমদার মন্ত্রীর আসন অলংকৃত করার মত একজন সৎজন ব্যক্তি। আমরা মনে করি জননেত্রী শেখ হাসিনার আর্শীবাদে ড. মজুমদার মন্ত্রীর মত উচ্চস্তরে উপনীত হয়ে দেশের জনগনকে সেবা করবেন। তিনি প্রার্থী না হলে এবার আমরা এ আসনটি উদ্ধার করতে পারতাম না। নৌকা বিজয়ী হলে সীমান্তবাসী মন্ত্রী উপহার পাবেন এমন আশায় ড. মজুমদারকে বিপুল ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জনগনের আশাকে বাস্তবায়ন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফারুক আহমদ বলেন, সিলেট-৫ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. হাফিজ আহমদ মজুমদার একজন শিক্ষাদরদী সমাজসেবক। তিনি সারাজীবন সীমান্তের মানুষের জন্য অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন। তিনি বলেন, দেশের সুনিপুন দায়িত্ব পরিচালনা করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে মন্ত্রী হওয়ার মত হাজার হাজার বিজ্ঞ নেতা আছেন। কিন্তু এই হাজার বিজ্ঞ নেতার মধ্যে ড. হাফিজ আহমদ মজুমদার ব্যতিক্রম একজন এমপি। এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের মন্ত্রীসভায় ড. হাফিজ আহমদ মজুমদারকে স্থান দিয়ে বৃহৎ পরিসরে সেবা করার সুযোগ দিবেন। এতে সীমান্তবাসীর স্বপ্ন পূরণ হবে।
Leave a Reply