আল হাছিব তাপাদার:: জকিগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে সায়মা রহমান তুলি (২৮) নামের এক নববধুকে বাড়ী ছাড়া করা অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কাজলসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও ইউপি সদস্যের সূত্রে জানাগেছে, কাজলসার গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রুমেল আহমদ (৩২) সংযুক্ত আরব আমিরাতে আবুধাবিতে থাকতেন। সেখানেই দেখা হয় ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাছানাবাদ গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে সামিয়া রহমানের সাথে। এরপর একটু একটু কথা বলা। তারই মাঝে মনের লেনাদেনা। এই সূত্রধরেই বাংলাদেশে এসে প্রায় এক মাস আগে দুজন দুজনের জীবনসাথী হন। সামজিকভাবেই সামিয়া রহমান তুলিকে ঘরে তুলেন রুমেল আহমদ। কিন্তু বিয়ের এক মাস পার হওয়ার আগেই সুখের সংসারে বিচ্ছেদের আগুন। যৌতুকের দাবীতে সামিয়া রহমানের উপর স্বামী’সহ পরিবারের লোকজন শুরু করেন চাপ প্রয়োগ। যৌতুক না পেয়ে যৌতুক লোভী স্বামী, দেবর, ননদ, শাশুড়ী, সামিয়াকে শারিরিক, মানসিকসহ বিভিন্নভাবে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেন। এরপর তাড়িয়ে দেয়া হয় বাড়ী থেকে। অবশেষে নির্যাতিত সামিয়া রহমান কোন উপায় না পেয়ে স্বামী রুমেল, পুলিশ কনেস্টবল দেবর, ননদ, শাশুড়ীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। অভিযোগ দায়েরের পর নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে আশ্রয় নেন জকিগঞ্জ থানায়।
গত দুদিন থানা আশ্রয়ে থাকার পর সোমবার ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম হিরা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নিয়ে যান সামিয়া রহমানকে। কিন্তু বিষয়টি এখনো সমাধান হয়নি বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম হিরা।
তিনি বলেন, সামিয়া রহমান এখন স্বামীর বাড়ীতে আছেন। স্বামীসহ পরিবারের লোকজন বাড়ীতে নেই এখন। অন্য কোথাও চলে গেছেন। সামিয়ার স্বামী রুমেল সামিয়াকে নিয়ে সংসার করতে রাজী নয়। দেনমোহরের ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চাচ্ছেন। সামিয়া পুরো দেনমোহর ছাড়া বিচ্ছেদে অসম্মতি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, সামিয়া রহমান থানায় ছিলো, পরে চলে গেছে। একটি অভিযোগ দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি আপোসের চেষ্ঠা চলছে।
Leave a Reply